Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরও ৪ সপ্তাহ গৃহবন্দি বুদ্ধিজীবীরা, ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় সুপ্রিম রায়

মাও যোগ রয়েছে বলেই গ্রেপ্তার, জানাল শীর্ষ আদালত৷

 Supreme Court extends house arrest for four weeks of five activists in Bhima-Koregaon case
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 28, 2018 12:56 pm
  • Updated:September 28, 2018 12:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় রায় দান করল সুপ্রিম কোর্ট৷ আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হল ধৃত বিশিষ্ট কবি, সমাজকর্মী ও বামপন্থী চিন্তাবিদ ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা, ভের্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ নওলাখের গৃহবন্দির মেয়াদ৷ পাশাপাশি খারিজ করা হল সিট গঠনের আর্জিও৷ রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অনুমানের ভিত্তিতে কেবল কাউকে মুক্তি দেওয়া যায় না৷ স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত৷ চার সপ্তাহ পর ধৃতেরা ফের আবেদন করতে পারবেন নিম্ন আদালতে৷ জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

[সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবসের আগেই সেনার পরাক্রম পর্ব দেখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি]

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুনের ষড়যন্ত্র করা এবং মাও সংগঠনকে মদত দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়ে ভারভারা রাও-সহ সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা, ভের্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ নওলাখাকে গ্রেপ্তার করে পুণে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় জড়িত থাকারও অভিযোগ আনা হয়৷ এরপরেই বাম বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার, অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক, দেবকী জৈন, সমাজতত্ত্ববিদ সতীশ দেশপাণ্ডে, লেখক মায়া দারুওয়ালার মতো বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজদের গ্রেপ্তারে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে সম্মত হয়নি শীর্ষ আদালত। পাঁচ বাম বুদ্ধিজীবীকে নিজেদের ঘরেই নজরবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, ধৃত বাম বুদ্ধিজীবীদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া যাবে না। তাঁদের বাড়িতেই নজরদারিতে রাখা যেতে পারে। গৃহবন্দি থাকার সময়ে তাঁদের সঙ্গে বাইরের কেউ দেখা করতে পারবেন না। বা তাঁরাও বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।

[সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন মহিলারা, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের]

এই মামলারই রায় ঘোষণা হল শুক্রবার৷ যেখানে শীর্ষ আদালত জানাল যে, অভিযুক্তরা নিজের থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে নির্বাচন করতে পারবেন না৷ পুলিশের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ফলে চার সপ্তাহের জন্য বাড়ান হল গৃহবন্দির মেয়াদ এবং এরপর নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পারবেন অভিযুক্তরা৷ যদিও রায়কে ঘিরে বিচারপতিদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে৷ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানউইলকর এর মত হলেও৷ তাঁদের সঙ্গে মতের মিল হয়নি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের৷ তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় গেল ধৃতদের বিপক্ষে৷ এমনটাই মনে করছে আইনজীবী মহল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement