Advertisement
Advertisement

Breaking News

Manipur

মণিপুরে সরকারের নিশানায় সংবাদমাধ্যম, এডিটর্স গিল্ডের সদস্যদের রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের

এডিটর গিল্ডের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছিল।

Supreme Court extended order protecting Editors Guild members in Manipur। Sangbad Pratidin
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:September 12, 2023 8:50 am
  • Updated:September 12, 2023 10:30 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এডিটর গিল্ড সদস্যদের স্বস্তি মিলল। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে মণিপুরের রাজ্য সরকারকে নোটিস দিয়ে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে গিল্ড সদস্যদের ব্যাপারে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা যেন নেওয়া না হয়। তাঁদের ব্যাপারে মণিপুর সরকার জবরদস্তি কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে, এই আশঙ্কায় আদালতে আবেদন করেছিলেন গিল্ড সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে এই রকম কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কড়াভাবে বারণ করেছে তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ। বেঞ্চের সভাপতিত্বে ছিলেন স্বয়ং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। 

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’(ইজিআই)-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মণিপুর (Manipur) সরকার। তাদের দাবি ছিল, এডিটর গিল্ডের সদস্যরা রাজ্যে আরও বেশি করে সংঘর্ষ এবং হিংসার ঘটনা ঘটাতে চাইছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বলেন, ‘‘মণিপুরের সংকট নিয়ে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’-এর নামে যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তা খুবই নিন্দনীয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি রাজ্যে শান্তি এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। আর, এডিটরস গিল্ডের সদস্যরা চাইছেন এখানে আরও বেশি হিংসা এবং অশান্তি ছড়াতে। তাই তাদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সনাতন ধর্মকে অপমান, নীরব রাহুল-উদ্ধব’, প্রতিপক্ষকে হিন্দুত্বের তাসেই তোপ অনুরাগের]

এফআইআরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, ইজিআইয়ের রিপোর্টে একটি পোড়া বাড়ির ছবি প্রকাশ হয়েছিল। এবং ছবির ক্যাপশনের নিচে লেখা ছিল পোড়া বাড়িটি এক কুকি পরিবারের। যা ৫ মে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। ওই বাড়িটি চূড়াচাঁদপুরের একটি গ্রামের বনবিভাগের অফিসের। এই অভিযোগের পর গোটা ঘটনা নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ইজিআই। এক্স হ্যান্ডলে তারা জানায়, ‘ছবিটি এডিট করার সময় একটি ভুল হয়ে গিয়েছিল। আমরা দুঃখিত। প্রসঙ্গত, গত ৭ থেকে ১০ আগস্ট ইজিআইয়ের তিন সদস্যের একটি কমিটি মণিপুরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যায়। এবং একটি রিপোর্ট পেশ করে। যা নিয়েই তৈরি হয় বিতর্ক।

উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২। আহত বহু। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।

[আরও পড়ুন: মোদি-সৌদি যুবরাজের কৌশলগত বৈঠক, শক্তি, প্রতিরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement