ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাউসে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে আইনি রক্ষাকবচ পাবেন না সাংসদ-বিধায়করা। সোমবার এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
১৯৯৮ সালে পি ভি নরসিমা রাও মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাংসদ-বিধায়কদের রক্ষাকবচ দিয়েছিল। হাউসে ভাষণ বা ভোট দেওয়ার জন্য যদি কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যেত না সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বলে। কিন্তু ২৬ বছরের পুরনো রায় এদিন বাতিল করে দিল শীর্ষ আদালত। কারণ এই রায় সংবিধানের আদর্শের পরিপন্থী। জনপ্রতিনিধিদের কাজ করার স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ ধারায় রক্ষাকবচ রয়েছে। কিন্তু ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয় বলে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সোমবার প্রধান বিচারপতি বলেন, পি ভি নরসিমা রাও মামলায় শীর্ষ আদালতের রায়ের সঙ্গে সহমত হওয়া যায় না। সংসদে ভোট বা ভাষণ দেওয়ার জন্য ঘুষ নিলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে তার ফলাফল অনেক সময়েই অন্যরকম হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই ১৯৯৮ সালের রায় বাতিল করা হল। এবার থেকে জনপ্রতিনিধিরা সংসদে ভোট বা ভাষণ দেওয়ার জন্য ঘুষ নিলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করা যাবে।
১৯৯৮ সালে পি ভি নরসিমা রাও মামলায় ঠিক কী ঘটেছিল? ১৯৯৩ সালে নরসিমা সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোট হয়। ২৬৫-২৫১ ফলে খুব সামান্য ব্যবধানে বেঁচে গিয়েছিল নরসিমা সরকার। কিন্তু বছরখানেক পরেই অভিযোগ ওঠে, অর্থ নিয়ে নরসিমা সরকারকে আস্থা ভোট দিয়েছে জেএমএম। সেই মামলা শীর্ষ আদালতে গড়ানোর পরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, জনপ্রতিনিধিদের জন্য রক্ষাকবচ রয়েছে। এদিন সেই রায় বাতিল করে দিল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ অর্থের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.