Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court Hijab

‘সুপ্রিম কোর্ট আরবি পড়ে কোরানের অর্থ বলতে পারে না’, হিজাব মামলায় দাবি মুসলিম পক্ষের

হিজাবের গুরুত্ব বুঝতে চেষ্টা করা মানে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা, দাবি মুসলিম পক্ষের।

Supreme Court can not judge necessity of Hijab, says Muslim petition | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:September 13, 2022 10:52 am
  • Updated:September 13, 2022 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আরবি ভাষা জানে না, তাই হিজাব মামলায় কোরানের ভুল অর্থ করেছে, সোমবার এই দাবি তুলেছে মামলার মুসলিম পক্ষ। তাদের তরফে বলা হয়েছে, কোরান অনুযায়ী হিজাবের (Hijab Row) আবশ্যকতা বিচার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নিজের সম্মান এবং পরিচয় বজায় রাখতে কেউ যদি হিজাব পরতে চায়, তাহলে তার অধিকারে বাধা দেওয়া উচিত কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা উচিত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম ছাড়া অন্য পোশাক পরা যাবে না। ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অন্য কোনও পোশাক পরতে দেওয়া যায় না।

মুসলিম পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ মুছালা সওয়াল করতে গিয়ে বলেছেন, “অমৃতধারী শিখ মহিলারা পাগড়ি পরেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পাগড়ি পরা থেকে তাঁদের আটকানো হয় না। সেই কথা মাথায় রেখেই মুসলিম পড়ুয়াদের হিজাব পরার অধিকার দেওয়া উচিত।” একই সঙ্গে কোরানের অর্থ বিবেচনা করে হিজাবের গুরুত্ব বুঝতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রক্রিয়াকেও একহাত নিয়েছেন মুছালা। তিনি বলেছেন, “হিজাব পরার গুরুত্ব রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে বিচার করার অর্থ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আরও নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, অ্যাকটিভ কেস ৪৬ হাজারের সামান্য বেশি]

কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকার থাকলেই সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ করা যায় না। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, ”আপনাদের ধর্মাচরণের অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু তা কি স্কুলে দেখানো যায়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পোশাকই সকলকে পরতে হয়? এটাই হল প্রশ্ন।” এমনকি বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্নও তোলে, ”তাহলে কি পড়ুয়ারা মিনি, মিডি যা খুশি পরে আসতে পারে? সেই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, রাজ্য কারোওর পোশাক পরার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে না। শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

কর্ণাটক (Karnataka) সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগামীকালও শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন:‘আমি চোরেদের সর্দার’, নীতীশের অস্বস্তি বাড়িয়ে বললেন বিহারের ‘চাল চোর’ কৃষিমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement