Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme court

আর কতদিন শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণ চলবে? কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

মহারাষ্ট্রে সংরক্ষণ সংক্রান্ত এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের।

Supreme Court asks State govt's response on reservation |Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 20, 2021 11:02 am
  • Updated:March 20, 2021 11:02 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণের (Reservation) প্রশ্নে এবার কঠোর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আর কত প্রজন্ম ধরে এই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে? শুক্রবার এই মামলা সংক্রান্ত শুনানিতে এই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতিরা। তাঁদের মতে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই সংরক্ষণের ব্যবস্থা জিইয়ে রাখার অর্থ নেই। শিক্ষা কিংবা চাকরিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধাই মূল চাবিকাঠি। তাই চাকরি কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয় না। এক্ষেত্রে সমানাধিকারের প্রশ্নই উঠে আসছে। এমনই মত বিচারপতিদের।

মহারাষ্ট্রে ১৯৩১ সালে পাশ হওয়া সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি বিলের প্রস্তাব ছিল, পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর শ্রেণির সদস্যদের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে। এই প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তাতে বিচারপতিরা জানান যে এই ১৬ শতাংশ সংরক্ষণে সায় দিলে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষণের যে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ ৫০ শতাংশ, তা পেরিয়ে যাবে। শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়ে অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি বলেন, ”১৯৩১ সালে পাশ হওয়া বিলে এই প্রস্তাব ছিল। তবে তা এখন পুনর্বিবেচনা করা উচিত।” তাঁর আরও বক্তব্য, শিক্ষা বা চাকরিতে সংরক্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্যের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সংরক্ষণ প্রয়োজন কি না অথবা কতটা সংরক্ষণ দরকার, তা ঠিক করবে রাজ্য সরকারই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে বেড়েই চলেছে কোভিড সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা পেরল ৪০ হাজার] 

তাঁর এই যুক্তির পর বিচারপতিরা আরও প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও কি কোনও শ্রেণিরই কোনও উন্নতি হয়নি? তাহলে তাদের জন্য এখনও সংরক্ষণ কেন প্রয়োজন? এর জবাবে রোহতগি আবার জানান যে মহারাষ্ট্রে এখনও ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছেন। অনাহারে মৃত্যুহারও বেশি। তাই এক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিৎ বলে মতপ্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলাটির শুনানি চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু শিক্ষা ও চাকরি অর্থাৎ যেখানে মেধাই অগ্রগণ্য হওয়া উচিৎ, সেখানে কেন সংরক্ষণের বাঁধে আটকে রাখা হচ্ছে? এবার শীর্ষ আদালতের এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মামলাকারীদের।

[আরও পড়ুন: যৌন বিকৃতির শিকার নিরীহ কুকুরও! রাতের অন্ধকারে ঘৃণ্য কাজের পর পলাতক অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement