সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬-র পর বাতিল নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের রাস্তা কী? কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং খেহর কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Deposit of old notes notes issue: SC bench issues notice to Centre & RBI asking for reply within 2 weeks; Next hearing on 11 April
— ANI (@ANI_news) March 21, 2017
প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, “গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন ৩০ ডিসেম্বরের পরও যদি কেউ বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে যথাযথ কারণ দেখাতে পারলে ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত আরবিআই শাখা অফিস তা জমা নেবে। আমাদের জানান, কেন সেই কথামতো সাধারণ মানুষের টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোনও ক্যাটাগরি রাখা হয়নি।”
[মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মোদির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ আদিত্যনাথের]
এক মহিলা পিটিশন দাখিল করে জানান, মোদি-সরকার কথা দিলেও সাধারণ মানুষ তাঁদের কাছে থেকে যাওয়া পুরনো নোট জমা দিতে পারছেন না। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় পুরনো নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৩০ ডিসেম্বরের পর কেন সাধারণ মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা রাখা হল না। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৮ নভেম্বরের বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যাঁরা প্রকৃত সমস্যার কারণে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা জমা দিতে পারেননি ৩১ মার্চ, ২০১৭ পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়ার একটি সুযোগ তাদের দেওয়া হবে। যা দেশবাসীর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই সুবিধা কেবল NRI-রাই পাচ্ছেন।
যদিও কেন্দ্রের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি বলেন, এখন আইন হয়ে গিয়েছে। কোনওভাবেই আর সময় বাড়ানো সম্ভব নয়। সরকার ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ অনেকেই এই সুযোগের অপব্যবহার করতেন। প্রধানমন্ত্রী কখনওই বলেননি, সাধারণ মানুষও ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুরনো নোট জমা দিতে পারবেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও আরবিআইয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছে। ১১ এপ্রিল এই মামলার আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
[প্রকৃত ভারতীয়র পাকিস্তানকে বয়কট করা উচিত, মত শিবসেনা নেতার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.