ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী এস্থের আনুহিয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত চন্দ্রভান সনপের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত অবিলম্বে সনপকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৫ সালে তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে চন্দ্রভান সনপকে দোষী সাব্যস্ত করে বম্বে হাই কোর্ট। অভিযুক্ত সনপকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রায়ে অসন্তুষ্ট সনপ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তাঁর দাবি ছিল, সে নির্দোষ। অহেতুক ফাঁসানো হচ্ছে। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর শীর্ষ আদালত সনপকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, যে ঘটনাক্রম সাজিয়ে সনপকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই ঘটনাক্রমে বহু ফাঁকফোঁকর রয়েছে। ফাঁসি দেওয়ার মতো উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
কী হয়েছিল ২০১৫ সালে? বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি খুব ভোরে বাড়ি থেকে মুম্বইয়ের কুরলায় ফিরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার মেয়ে এস্থের। অভিযোগ নিজেকে ট্যাক্সিচালক পরিচয় দিয়ে এস্থেরকে বাইরে নিয়ে যায় চন্দ্রভান। সেখান থেকে একটি বাইকে চাপিয়ে ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের কাছে কানজুরমার্গে বাইক থামিয়ে এস্থেরকে টানতে টানতে একটি ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সনপ। এস্থের বাধা দিতে গেলে, ভারী পাথর দিয়ে তাঁর মাথার উপর্যুপরি আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়। এস্থেরের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সনপ। পরে আদালত সনপের মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে এই ঘটনাক্রম বিশ্বাস করার মতো উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।
ঘটনাচক্রে এমন একটা সময় শীর্ষ আদালত এই রায় দিল যখন রাজ্য উত্তাল আর জি কর ইস্যুতে। আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি না হওয়া নিয়ে বহু লেখালেখি হচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এই আবহে খোদ শীর্ষ আদালত ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের ফাঁসি রদ করে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.