সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের সময় বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। অথচ সেই সমস্ত বিমানের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়নি উড়ান সংস্থাগুলি। এবার সেই টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয় উড়ান নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ-র (DGCA) প্রস্তাবে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। উড়ান সংস্থাগুলি এই প্রস্তাব মানতে বাধ্য।
গ্রাহকরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, তার দু’টি প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। এক, সরাসরি অর্থ ফেরত দেওয়া, দুই, ক্রেডিট সেলের মাধ্যমে টিকিটের দাম মেটানো। তবে সব যাত্রীদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
Supreme Court approves Director General of Civil Aviation’s (DGCA) recommendations on refund of passengers’ tickets of flights, cancelled due to lockdown, through credit shells. pic.twitter.com/OTUIIxhlMb
— ANI (@ANI) October 1, 2020
ডিজিসিএ ও সুপ্রিম কোর্টের তরফে যাত্রীদের তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) যাঁরা সরাসরি সংস্থা থেকে উড়ানের টিকিট কেটেছিলেন।
২) এজেন্টের মাধ্যমে যাঁরা ঘরোয়া বিমানের টিকিট কেটেছিলেন।
৩) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় উড়ান সংস্থা বা ভারত থেকে ছাড়ে এমন বিমানের টিকিট কেটেছেন।
ডিজিসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের টাকা সেই এজেন্টের কাছে ফেরত যাবে। আর যাঁরা সরাসরি উড়ান সংস্থার কাছ থেকে টিকিট কেটেছেন, তাঁদের টিকিট বাবদ অর্থ ক্রেডিট সেলের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে। ক্রেডিট সেলের মাধ্যমে টাকা এজেন্টরা কোনওভাবেই ফেরত পাবে না।
কী এই ক্রেডিট সেল?
টিকিটের অর্থ যাত্রীর নামে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে জমা থাকবে। যা পরবর্তী টিকিট বুকিংয়ের সময় ব্যবহার হবে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ক্রেডিট সেলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে কোনও যাত্রী টিকিট বুকিং না করলে সেই টাকা সরাসরি যাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টির তিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি ও এমআর শাহ বলেন, “আমরা ডিজিসিএ-র প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। তা দ্রুত কার্যকর করা হবে।” এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে কয়েক হাজার বিমানযাত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.