নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের কারণে সুন্দরবন এলাকার নদী বাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিক। বাঁধ মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করুক। লোকসভায় এই বিষয়ে সরব হলেন সুন্দরবন লাগোয়া জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। ফের কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তুলে তাঁর বক্তব্য, বাঁধ মেরামতির জন্য বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে সংসদে দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। তাতে অংশ নিয়ে লোকসভায় মঙ্গলবার বক্তব্য রাখেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। সেই বক্তব্যেই উঠে আসে সুন্দরবনের নদীবাঁধ ভাঙন সমস্যার কথা। সাংসদের দাবি, সুন্দরবন এলাকায় একাধিক নদী আছে। সেসব নদীর বাঁধ অনেক জায়গাতেই দুর্বল হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। মেরামতির পরও স্থায়ী কোনও সমাধান হচ্ছে না। আর এই সমস্যার জন্য বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজগুলিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সাংসদ।
প্রতিমা মণ্ডলের বক্তব্য, সুন্দরবনের ওই জলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাহাজ। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে জলপথে যোগাযোগের জন্যও এই পথ কখনও কখনও ব্যবহার করা হয়। দিনে অন্তত ১০০টি জাহাজ যাতায়াত করে। যার ফলে নদীতে বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বহু জায়গায় তা ভেঙেও যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বাঁধ সারানোর কাজ করে চলেছে।কিন্তু দ্রুত স্থায়ী সমাধান না হলে বড়সড় সমস্যায় পড়বে সুন্দরবন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ সমস্যা মেটাতে করুক বলে আবেদন জানান জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, জলপথে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ম জারি করা হোক। বাঁধ মেরামতিতে কেন্দ্র অর্থ মঞ্জুর করুক। সেই দাবিও তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন এলাকা। ২০০৯ সালে সুন্দরবনের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। সম্প্রতি আমফান, যশের মতো সাইক্লোনে বিধ্বস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ। তার সম্পূর্ণ মেরামতি এখনও করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বাঁধ মেরামতির জন্য টাকা দেয় না বলে অভিযোগ বারবার নবান্নের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে সমস্যার কথা বিস্তারিত জানিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ালেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.