সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিতাগুফা সংযোগকারী রাস্তার নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন জওয়ানরা৷ কাজ কেমন এগোচ্ছে দেখে এসে সবে খেতে বসেছিলেন৷ সেই সুযোগ নিয়েই সিআরপিএফ-এর ৭৪তম ব্যাটেলিয়ানের উপর রকেট লঞ্চার, একে-৪৭ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে হিংস্র মাওবাদীরা৷ হামলা অতর্কিতে হলেও হাতের গ্রাস ফেলে উত্তর দিতে দেরী হয়নি জওয়ানদের৷ কিন্তু গ্রামবাসীদের বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছিল মাওবাদীরা৷ তাঁদের সামনে রেখেই পিছন থেকে চালাচ্ছিল গুলি৷ ২৫ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন সুকমার হামলায়৷যার মধ্যে তিন জন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা৷
[আর আলোচনা নয়, কাশ্মীরে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ নেবে কেন্দ্র]
কে বা কারা দায়ী এই হামলার জন্য? শুধুই কি মাওবাদীরা? হয়তো না৷ শোনা গিয়েছে এর নেপথ্যে রয়েছে সেই গ্রামবাসীরা যারা সামনে জওয়ানদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার বজায় রাখলেও লুকিয়ে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য তুলে দিত মাওবাদীদের হাতে৷ এমনকী জওয়ানরা কখন তদারকিতে যান, কোথায় বিশ্রাম নেন, কখন খাবার খান সেই খবরও নাকি জানানো হত৷ এই তথ্যগুলি থেকেই ঠান্ডা মাথায় হামলার পরিকল্পনা করে মাও জঙ্গিরা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও এই ঘটনাকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ মাওবাদীরা কীভাবে আদিবাসীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন একথাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
[এবার মুসলিম নামের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল চিন]
কিন্তু কেন গ্রামবাসীরা এমনটা করলেন? এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ভয়ের কারণেই এমনটা করেছেন আদিবাসীরা৷ এই ভয়ের সূত্রপাত দুই মাস আগে হয়৷ যখন গ্রামপ্রধান মাধবী মাওবাদীদের হাতে খুন হন৷ শোনা যায়, মাধবী মাওবাদের বিরুদ্ধে জওয়ানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন৷ এর পর থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা৷ কিছু আদিবাসী আবার মাওবাদীদের সাহায্যও করতে শুরু করেন৷ সিআরপিএফ অফিসার ডি পি উপাধ্যায়ের দাবি, সরল আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে মাওরা৷ তবে জওয়ানদের এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না বলে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ প্রয়োজনে পুরনো নকশালবিরোধী কৌশল ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি৷ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কৌশল আরও শক্তিশালী করতে ৮ মে মাও অধ্যুষিত রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
[১৬ বছর পর অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে দেখা মিলল আমির খানের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.