সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমান উপসাগরের কাছে বোমাবর্ষণ করল ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলা অত্যন্ত জটিল এই অভিযানে অংশ নেয় বাহিনীর বেশ কয়েকটি সুখোই যুদ্ধবিমান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বায়ুসেনা জানিয়েছে, গুজরাটের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়ান ভরে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান। ছক মতে ওমান উপসাগরের কাছে নির্ধারিত লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত হেনেছে সুখোই-৩০ এমকেআই জেটগুলি। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে অত্যন্ত জটিল এই মহড়া। মাঝ আকাশে হামলাকারী বিমানগুলিতে জ্বালানি ভরে বায়ুসেনার আইএল-৭৮ ট্যাঙ্কার বিমান। মূলত, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সুখোই কতটা সক্ষম, তা খতিয়ে দেখতেই এই মহড়া চালানো হয়। এবং পরীক্ষায় রীতিমতো চোক ধাঁধানো সাফল্য পেয়েছে সুখোই।
গত সপ্তাহে এমনই এক মহড়া চালায় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক রাফালে ফাইটার জেট। পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকে উড়ান ভরে আন্দামানের কাছে বোমাবর্ষণ করে যুদ্ধবিমানগুলি। প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে চলে ওই অভিযান। এক বায়ুসেনা আধিকারিকের মতে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর– দুই ফ্রন্টেই দূরপাল্লার হামলার জন্য তৈরি বাহিনী। অর্থাৎ, গোটা ভারত মহাসাগরেই এবার প্রতিপক্ষের ফৌজকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম যুদ্ধবিমানগুলি।
উল্লেখ্য, মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আগ্রাসী চিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর উপগ্রহ চিত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে ‘অতি-তৎপর’ হয়ে উঠেছে চিনা নৌবাহিনী।
গত বছর উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ‘হর্ন অফ আফ্রিকা’য় অবস্থিত জিবৌতির চিনা নৌঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি। ফলে ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) মোতায়েন চিনা নৌবহরকে কৌশলগত সমর্থন দিতে প্রস্তুত সেটি। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত অবস্থানের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ জিবৌতি। এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত এই নৌঘাঁটি থেকে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার কাজ করতে পারবে চিনা নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরের জলসীমায় ঢুকে চাপে ফেলতে পারবে নয়াদিল্লিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.