সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সংসদের ক্যান্টিন থেকে সবরকমের ভরতুকি উঠে যেতে চলেছে। এখন থেকে বাজারদরেই খাবার কিনবেন সাংসদরা। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তাঁরা। এতদিন সংসদে খাবারের ভরতুকি বাবদ সরকারকে খরচ করতে হত ১৭ কোটি টাকা। এখন থেকে সেই টাকা আর খসবে না রাজকোষ থেকে।
সংসদে খাবারের ভরতুকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল সাধারণ মানুষের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর আন্দোলনও হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের যখন নাভিশ্বাস, তখন সাংসদরা কেন ভরতুকি পাবেন? এ প্রশ্নও বার বার উঠেছে। বুধবার এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্পিকার। সেখানেই সাংসদরা ভরতুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠক শেষে স্পিকার ওম বিড়লা ঘোষণা করেন, এই মুহূর্ত থেকে সংসদের খাবারে সমস্তরকম ভরতুকি বন্ধ করা হল। সব সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,আপাতত সংসদে সমস্তরকম খাবারেই ভরতুকি পেয়ে থাকেন সাংসদরা। সব খাবারই বাজারদর থেকে খানিকটা কমে পান তাঁরা। গতবছর একটি আরটিআইয়ের উত্তরে সরকার জানিয়েছিল, সংসদে মাটন কারি বিক্রি হয় মাত্র ৪৫ টাকা প্লেট হিসেবে। চিকেন কারি বিক্রি হয় ৫০ টাকা প্লেট হিসেবে। চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায় ৬৫ টাকায়। যা কিনা, দিল্লির বাজারদরের তুলনায় বেশ কম।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, উদ্দেশ্য শুধু সরকারের ১৭ কোটি টাকা বাঁচানো নয়। মূলত, সমাজকে বার্তা দিতেই ভরতুকি তুলে দিতে চাইছে সাংসদরা। সার্বিক দিক থেকে দেখতে গেলে মাত্র ১৭ কোটি টাকা ভারতের বিশাল অর্থনীতির তুলনায় নগণ্য। তবে, সাংসদরা যদি ভরতুকি তুলে দেন, তাহলে তা সমাজের পক্ষে ভাল বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.