Advertisement
Advertisement
Joshimath

প্রতি বছর আড়াই ইঞ্চি করে ডুবছিল যোশিমঠ! সমীক্ষায় ধরা পড়ল ভয়ানক চিত্র

কেন প্রশাসন আরও আগে থেকে সতর্ক হল না, উঠছে প্রশ্ন।

Study finds Joshimath sink by 2.5 Inch every year। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 11, 2023 9:43 am
  • Updated:January 11, 2023 1:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছর সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ আড়াই ইঞ্চি করে তলিয়ে যাচ্ছিল যোশিমঠ। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে এই ভীতিপ্রদ ছবিটাই উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে গত ২ বছরে লাগাতার মাটিতে একটু একটু করে বসে গিয়েছে পাহাড়ি এই জনপদ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

দেরাদুনের সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিংয়ের সমীক্ষা থেকে এমন ছবিই ফুটে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, ওই সময় থেকেই যোশিমঠ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পাহাড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন প্রশাসন আরও আগে থেকে সতর্ক হল না। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ৭৭৩টি বাড়ি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে ফাটল দেখা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩১টি পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০২২ সালে প্রবাসী ভারতীয়রাই দেশকে দিয়েছেন ১০০ বিলিয়ন ডলার! দাবি নির্মলার]

সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে যোশিমঠ ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক রয়েছে। মঙ্গলবারই যোশিমঠের (Joshimath) একাধিক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি হোটেলও। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রতিবাদও। একটি হোটেলের মালিক ঠাকুর সিং রানার কথায়, ”যদিও আমার হোটেলে কেবল আংশিক ফাটলই দেখা গিয়েছে, তবু জনস্বার্থে তা ভাঙা হলে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমাদের অন্তত নোটিস তো দেওয়া উচিত ছিল।” পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আর্থিক সাহায্য়ের অঙ্কও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি তাঁদের। যদিও সিনিয়র অফিসার হিমাংশু খুরানা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, যে বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়ছেন তাঁদের প্রাথমিক ভাবে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। 

এদিকে যোশিমঠের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত বিষয়ই একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান করতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। মামলার শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারির তারিখ চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

[আরও পড়ুন: বাংলায় কল্কে পেতে বঙ্গ বিজেপিকে রাজ্যের সঙ্গে চরম সংঘাতে যাওয়ার নির্দেশ নাড্ডার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement