ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামান্য অপরাধের শাস্তি হিসাবে চড়া রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হত। এমনকি স্কুলের ঘাস কাটা থেকে শুরু করে ক্লাসরুম পরিষ্কার করা- কার্যত অত্যাচার চলত ছাত্রীদের উপর। অবশেষে সহ্য করতে না পেরে স্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালাল পড়ুয়ারা। স্কুলের জানলা-সিলিং ফ্যান নষ্ট করে দিল ছাত্রীরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্রীদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। সরোজিনী নায়ডু গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রীরা একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বুধবার স্কুলের মাঠে ধরনায় বসে শতাধিক ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, বর্ষা ঝা নামে এক শিক্ষিকা মাসখানেক আগে স্কুলে যোগ দিয়েছেন। তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। এক ছাত্রীর অভিযোগ, “অনেক দূর থেকে অনেকে স্কুলে আসে। এক মিনিটও দেরি হয়ে গেলে দুঘণ্টা ধরে রোদের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়। নতুন এক শিক্ষিকা এসে নিয়মানুবর্তিতার নামে এসব শাস্তি দিচ্ছেন।”
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। এক মাস আগে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীকে স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি ছাত্রীদের নিয়মানুবর্তিতার পাঠ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর আচরণের কারণে ছাত্রীদের কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। তবে দীর্ঘ একমাস পরে অবশেষে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে স্কুলের ছাত্রীরা। স্কুল ইউনিফর্ম পরে তারা ধরনা শুরু করে। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বেঞ্চের উপরে উঠে দাঁড়িয়ে ফ্যান ভেঙে দিচ্ছে যাত্রীরা। ক্লাসরুমের জানলাও ভেঙে দেয় তারা।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে স্কুলে পুলিশ ডাকতে হয়। বিশেষ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্কুলে পৌঁছন মধ্যপ্রদেশ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর। তার পরেই অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। শাসক দল বিজেপিকে বিঁধে কংগ্রেসের তোপ, বেটি বচাও বেটি পড়াও স্লোগান দেওয়ার পরে কেন ছাত্রীদের এমন অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.