সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির টুপি পরতে অস্বীকার করায় সহপাঠীরা হেনস্তা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন মুসলিম ছাত্রী। এবার তাঁকেই বহিষ্কার করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার পর কলেজের তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটিকে তদন্তে সাহায্য করেনি অভিযোগকারী ছাত্রীটি। উত্তরপ্রদেশের মীরাটের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল টুইটারে ওই ছাত্রীটি অভিযোগ করেন, কলেজ ট্যুরে আগ্রা যাওয়ার সময় তাঁকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। ৫৫ জন সহপাঠীর মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন মুসলিম। রাস্তার মাঝে হঠাৎ চার মদ্যপ সহপাঠী তাঁকে বিজেপির টুপি মাথায় দিতে বলে। ছাত্রীটি তা পরতে অস্বীকার করায় চারজন মিলে তাঁকে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছাত্রীটির অভিযোগ, সেসময় তাদের কলেজের চারজন অধ্যাপকও উপস্থিত ছিলেন কিন্তু, তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা নেন। এই অভিযোগের পরই শোরগোল পড়ে যায়। একটি তদন্ত কমিটি বসায় কলেজ। অভিযুক্তদের সাময়িক সাসপেন্ডও করা হয়। থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেন তিনি।
কিন্তু ঘটনার পর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হল অভিযোগকারী ছাত্রীটিকেই। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার পর একাধিকবার ওই ছাত্রীটিকে বয়ান দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কলেজের তরফ থেকে ডিরেক্টর এসএম শর্মা জানিয়েছেন, “মেয়েটি কিছুতেই বয়ান রেকর্ড করতে আসেনি। তাছাড়া ওর অভিযোগে দু’জন ছাত্রকে বহিষ্কার করে আমরা এমনিতেই চাপে আছি।” অন্যদিকে ছাত্রীটি আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। থানায় যে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই ছাত্রীটিকে সাসপেন্ড করায় খুশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। আসলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বজরং দলেরই সদস্য ছিলেন। বজরং দলের দাবি, ওই ছাত্রীটি মিথ্যে কথা বলেছে। এবার আমাদের কর্মীদের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার করা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপির শাসনে রাজ্যে অনাচার চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.