Advertisement
Advertisement
রজঃস্বলা

ঋতুস্রাবের সময় রান্না করলে জন্মাবেন কুকুর হয়ে, বিতর্কিত মন্তব্য ধর্মগুরুর

স্বামীজির বিধান কী মানবে সমাজ?

Stop this dog fight and listen to Swamiji.Menstruation starts with men
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 18, 2020 5:38 pm
  • Updated:February 18, 2020 5:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে গুজরাটের ভুজ। এবারও শিরোনামে উঠে আসা্র কারণ হিন্দু ধর্মগুরুর বিতর্কিত মন্তব্য। ‘রজঃস্বলা অবস্থায় মহিলারা রান্না করলে তার ফল পাবেন হাতেনাতে। কুকুর হিসেবে পুনর্জন্ম হবে তার!’ ভুজের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের সদস্য স্বামী কৃষ্ণস্বরূপ দাসের এই মন্তব্যে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সমাজে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসছেন মহিলারা। পর্বতারোহণ থেকে শুরু করে সেনায় কম্যান্ডার হিসেবে নিয়োগ, ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে বাস চালক হিসেবে মহিলারা নিযুক্ত হচ্ছেন। তবুও সমাজের হাল ফিরছে কই? সমাজে ঘটা করে দেবীকে মাতৃ ও শক্তিরূপে পুজো করা হয়।তবে তা পুঁথিতেই সীমাবদ্ধ। গালভরা শব্দ ‘নারীবাদ’ আজও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কোথাও যেন বেমানান। অসমের কামাক্ষ্যায় দেবীর রজঃস্বলা (Period) মুহুর্তে দেবীকে শুচি বলে মনে করা হয়। করা হয় পুজা-অর্চনা। কথিত আছে, দেবীর রজঃস্বলা চলাকালীন সেই বাড়িতে রাখা গৃহস্থের জন্য শুভ। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে বাড়িতে থাকা মহিলারা রজঃস্বলা চলাকালীন অশুচি কেন?

Advertisement

[আরও পড়ুন: অন্তর্বাস খুলে ছাত্রীদের হেনস্তার জের, গ্রেপ্তার গুজরাটের কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ ৪]

স্বামীনারায়ণ মন্দিরের তত্ত্বাবধানে গুজরাটে একটি স্কুল চলে। সেই স্কুলের কর্মীদের জন্যই রান্না করে দেন এক মহিলা। রজঃস্বলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বামীজি কৃষ্ণাস্বরূপ দাসের দাবি,’ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনও মহিলা রান্না করলে কুকুর হিসেবে পুনর্জন্ম হবে তার। অন্যদিকে তার করা রান্না কোনও পুরুষ খেলে ষাঁড় হিসেবে পুনর্জন্ম হবে তার।’ কয়েকদিন আগেই গুজরাটের কচ্ছের এক কলেজে ছাত্রীদের ঋতুস্রাব হয়েছে কিনা জানতে হেনস্থা করা হয়। ছাত্রীদের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে অন্তর্বাস খুলে চলে পরীক্ষা। ঘটনার জেরে ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয় কলেজের অধ্যক্ষা সহ অভিযুক্ত ৪ জনকে।

[আরও পড়ুন: সেনায় মহিলাদের সমান অধিকার, কৃতিত্ব নিয়ে টুইট যুদ্ধে স্মৃতি-রাহুল]

তবে এই অভিশাপ থেকে বাঁচতে স্বামী কৃষ্ণস্বরূপ দাস একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তার মতে,”বিয়ের আগেই পুরুষদের রান্না শিখে রাখা প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান,”রজঃস্বলা মহিলার হাতের রান্না খেয়ে অভিশাপে পুরুষরা এমন একটি প্রাণীর রূপে জন্ম নেন যিনি পূজিত হন। অবশ্য মহিলারা অপবিত্র কুকুর রূপে জন্ম নিলেও তাদের বিশ্বস্ত হওয়ার স্বভাব যায় না।” নিজের যুক্তির সপক্ষে স্বামীজি বলেন, “হিন্দু ধর্ম আত্মা ও পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। তাই এই বিষয়ে প্রশ্ন করার অবকাশই থাকে না।” কৃষ্ণস্বরূপ দাসের এই বিধানে বিশ্বাস রেখে সমাজ এগিয়ে যাবে নাকি তর্কে মন দেবে তা সমাজের বিশিষ্টদের জন্যই মুলতুবি থাক।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement