ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেসব হিন্দুরা সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয় তারা কোনও কাজের নয়! ঔরঙ্গজেবের কবর বিতর্কের মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন রাজ ঠাকরে। গত কয়েকদিনে মুঘল সম্রাটের কবর ঘিরে যেভাবে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বেঁধেছে, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই মুখ খুলেছেন মহারাষ্ট্র নরনির্মাণ সেনার প্রধান। তাঁর মতে, ইতিহাস পড়তে হলে সঠিক জায়গা থেকে পড়া উচিত, সোশাল মিডিয়া থেকে নয়।
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে মহারাষ্ট্রে বিক্ষোভ শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তেমনই এক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তি চরম আকার নেয় নাগপুরে। গুজব ছড়ায়, ওই বিক্ষোভে একটি বিশেষ ধর্মগ্রন্থ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই গুজব মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয়। ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়িতে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলে, তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ইট-পাথরে ঘায়ে অন্তত বহু পুলিশ কর্মী জখম হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকাজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। ৫০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঔরঙ্গজেবের কবর নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই রবিবার গুড়ি পড়বা উপলক্ষে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে জনসভা করেন রাজ। সাফ প্রশ্ন তোলেন, “জলাশয়-গাছ কাটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই, কিন্তু ঔরঙ্গজেবের কবর নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা হচ্ছে? আসলে ইতিহাসের নাম করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে। সেই বিভেদের ফায়দা লুটছে রাজনীতিকরা। ঔরঙ্গজেবের কবর অবশ্যই রাখা উচিত, সঙ্গে লেখা থাকবে,’এই রাজাকে আমরা শেষ করেছিলাম।’
এমএনএস সুপ্রিমো আরও বলেন, “আমরা গোটা পৃথিবীকে জানাতে চাই, এরা মারাঠাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু নিজেরাই মুছে গিয়েছে। কিন্তু তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ইতিহাস না পড়ে বই থেকে ইতিহাস পড়তে হবে।” ঠাকরের মতে, কেবল সিনেমা দেখে যেসব হিন্দুরা উদ্বুদ্ধ হয় তারা কোনও কাজের নয়। তিনি বলেন, “শম্ভাজির বীরত্বের কাহিনী কি ভিকি কৌশলের সিনেমা দেখে জানতে হবে?” সাম্প্রদায়িক অশান্তির উসকানি থাকলেও তাতে যেন কেউ পা না দেন, সতর্কবাণী ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়ে’র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.