সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিশঙ্কর আইয়ারের নীচ মন্তব্য, তারপর পাকিস্তানের সঙ্গে কংগ্রেস গোপন বৈঠক। গুজরাটে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করতে এই কার্ডগুলোই খেলে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। সাময়িক জড়তা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তিরের পালটা দিল হাত শিবির। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর তোপ প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন ভুলে এখন চিন, পাকিস্তান নিয়ে ব্যস্ত। গুজরাটের ভোটে তাদের নাম জড়ায় পাকিস্তানও জবাব দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের বক্তব্য, নিজেদের গণ্ডগোলের মধ্যে তাদের খামোকা টানা হচ্ছে।
[ফের বেজিংয়ের ‘দাদাগিরি’, কনকন ঠাণ্ডাতেও ডোকলামে স্থায়ী সেনাঘাঁটি চিনা ড্রাগনের]
সোমবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈজল সোমবার টুইট প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি লেখেন, নির্বাচনী বিতর্কে পাকিস্তানকে টেনে আনা বন্ধ করা উচিত ভারতের। আর এমন মনগড়া ও ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রের গল্প ব্যবহার না করে নিজের শক্তিতে নির্বাচনে লড়ে জেতা উচিত।
India should stop dragging Pakistan into its electoral debate and win victories on own strength rather than fabricated conspiracies, which are utterly baseless and irresponsible.
— Dr Mohammad Faisal (@ForeignOfficePk) 11 December 2017
সংবাদমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে পালানপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল। যাতে পাকিস্তানের হাই কমিশনার, সে দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী, ভারতের প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও উপস্থিত ছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। মোদির প্রশ্ন ছিল এটা কি সন্দেহজনক নয়?
[জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার বড় সাফল্য, খতম ৫ জঙ্গি]
যদিও এই প্রশ্নকে ভিত্তিহীন বলেই ব্যাখ্যা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা বলেন, আইয়ারের বাড়ির বৈঠকে প্রাক্তন সেনা প্রধান দীপক প্রধান, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিং ও প্রাক্তন কুটনীতিবিদ সলমন হায়দরের মতো ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আর তা পুরোপুরি অরাজনৈতক বৈঠক ছিল বলে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংও প্রশ্ন তোলেন, মোদি কেমন করে জানলেন বৈঠকে কী হয়েছে? বৈঠকে আসলে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তাও একেবারেই অরাজনৈতিকভাবেই। এদিকে মোদির জন্মভূমি ভাদনগরে এক জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, আসল ইস্যু ছেড়ে মোদি ম্যাজিশিয়ানের মতো ট্রিক করে গুজরাটের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এতে অবশ্য লাভ কিছু হবে না বলেই জানান কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করতে নেমে এদিন পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাফ কথা, ভারতের গণতন্ত্র যথেষ্ট মজবুত। গুজরাট জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন নেই। বিদেশি রাষ্ট্রের কোনওরকম হস্তক্ষেপ আমরা বরদাস্ত করব না।
[‘গুরু’কে টপকাতে ব্যর্থ ‘গুগল’, সগর্বে মন্তব্য উপরাষ্ট্রপতির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.