সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বানিয়ে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারিদের উৎখাত করে জায়গা দেওয়া হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের। এভাবেই বেনজির তোপ দাগল এনডিএ সরকারের শরিক দল নীতিশ কুমারের জেডিইউ।
[আরও পড়ুন: ফিরল পুলওয়ামার স্মৃতি, অনন্তনাগে জঙ্গিহানায় শহিদ ৫ সিআরপিএফ জওয়ান]
লোকসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছে জেডিইউ। মোদি আর নীতিশের যুগলবন্দিতে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের দল। কোণঠাসা হতে হয়েছে রাজনীতির নয়া ‘উদারপন্থী’ মুখ কানহাইয়া কুমারকেও। তবে মোদি সরকার-২.০ ক্যাবিনেট গঠন নিয়ে মনোমালিন্যে তৈরি হয় বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে। মোদির মন্ত্রিসভায় চাহিদা মতো মন্ত্রিত্ব না পাওয়াই বেশ ক্ষুণ্ণ হন নীতিশ। তারপরই বিহারে বিজেপির শরিক হলেও চারটি রাজ্যে আলাদা বিধানসভা ভোটে লড়াই করার কথা ঘোষণা করে জেডিইউ। জেডিইউ-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার শুভেচ্ছা পেয়েও তোপ দাগতে ছাড়লেন না দলের মুখপাত্র অজয় আলোক। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ”এনডিএ ছেড়ে চারটি রাজ্যে আলাদা লড়াই করতে চলেছে জেডিইউ। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি হতেই পারেন। কিন্তু এতে তাঁর অপরাধ ধামাচাপা পড়বে না। মিনি পাকিস্তান হওয়ার হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচানো উচিত তাঁর।” তিনি আরও বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।”
উল্লেখ্য, জাতীয় দলের তকমা পেতে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেডিইউ-র সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীশ কুমার। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নীতীশজি আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনাকে অভিনন্দন জানাই।” রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, মন্ত্রিত্ব ভাগ নিয়ে মনোমালিন্য তৈরি হলেও এখনই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপিকে চটাতে নারাজ জেডিইউ। তাই মোদি সরকারের সব থেকে বড় সমালোচক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গেরুয়া শিবিরকেই আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
[আরও পড়ুন: চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে প্রস্তুত ‘চন্দ্রযান-২’, উৎক্ষেপণের দিন ঘোষণা ইসরোর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.