সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে কাজের সময় বাড়তে চলেছে রেলকর্মীদের। এবার স্টেশন মাস্টারদের কাজ করতে হবে বারো ঘন্টা। এ জন্য কমিটি গঠন করে জব এনালিসিসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের প্রাথমিক পর্বে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সর্বভারতীয় স্টেশন মাস্টার এসোসিয়েশনের ডাকে শুরু হয়েছে আন্দোলন। পূর্ব রেল ৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিটিং, বাইক রেলি, মাইকিং করে রেলের নীতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করবে।
করোনা আবহে রেল চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে তার থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে স্টেশন মাস্টারদের কাজের সময় সম্প্রসারিত করবে হবে। রেল আওয়ার অফ এমপ্লয়মেন্ট রুলকে বদলে ফেলছে। কন্টিনিউআস রোস্টার আট ঘন্টা থেকে বদলে বারো ঘন্টার এসেনশিয়াল এন্টারমিটেন্ট অর্থাৎ বারো ঘন্টার কাজে পরিণত করতে চলেছে। চরম ব্যস্ততার মধ্যে যখন ছ’ঘন্টার ইনটেনসিভ রোস্টার চালুর দাবি চলছে তখন বারো ঘন্টার চাকরি করানো চূড়ান্ত অভিসন্ধিমূলক বলে জানিয়েছে স্টেশন মাস্টার এসোসিয়েশন। তাদের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশন মাস্টাররা চাকরি করেছেন। অসংখ্য মালগাড়ি, পার্সেল ভ্যান চালিয়ে রেলের আয়ের পথ প্রশস্ত রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নিয়ে এই সিদ্ধান্ত অমানবিক। পাশাপাশি পনেরো দিনে দশদিন নাইট ডিউটি করলে পুরো মাসের ভাতা পাওয়া যায়। যা এবার একদিন নাইট মানে একদিনের ভাতা দেওয়া হবে।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন এজন্য জনমত গড়ে তোলার ডাকে আন্দোলন শুরু করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ স্পষ্টবলেন, “এটা বেসরকারিকরণের নীতি। রেল স্টেশনগুলি স্টেশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির হাতে চলে যাচ্ছে। আশপাশের জমি আরএলডিএর হাতে যাচ্ছে। ফলে তা চূড়ান্তভাবে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। স্টেশনে হকার থাকবে না। চা বিক্রি হবে পঞ্চাশ টাকায়, জল একশো টাকায়। স্টেশনের রেলকর্মীরা চলে যাবেন বেসরকারি সংস্থার হাতে। আট ঘন্টার শিফট বারো ঘন্টায় রূপান্তরিত হবে। কম লোক লাগবে। এজন্য শ্রমিক আইনকে সংশোধন করা হয়েছে। যা অবিলম্বে পাশ করতে চলেছে রেল। এই প্রেক্ষিতে রেলের কর্মী সংগঠন আন্দোলনকে জনমুখী করে তুলতে মিটিং, মিছিল করে রেল ব্যবহারকারী সর্বস্তরের মানুষজনকে আন্দোলনের পাশে পেতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.