রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুক্রবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী বিজেপির জাতীয় পরিষদের বর্ধিত অধিবেশন। আর এই অধিবেশন শেষে দলের বাংলার নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় দলের রথযাত্রা কর্মসূচি এখনও আইনি জটে আটকে। ১৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আর ১৬ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে আসার কথা রয়েছে অমিত শাহর। আবার ২৯ জানুয়ারি রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। ওইদিন রাজ্য বিজেপির তরফে ব্রিগেড ময়দান ‘বুক’ করে রাখা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শেষ হলে মোদি ও শাহর সফরসূচি নিয়েই বঙ্গ নেতাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷
[লোকালয়ে চলে আসার ‘অপরাধ’, লেজ ধরে গোটা গ্রাম ঘোরানো হল চিতাবাঘকে ]
লোকসভা নির্বাচনে দল কোন পথে এগোবে। বিরোধীদের আক্রমণের সুর কী হবে তা এই বর্ধিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশনেই ঠিক করে দেবেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। এই অধিবেশন থেকেই লোকসভা ভোটের দামামাও বাজিয়ে দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। অধিবেশনে উপস্থিত সব রাজ্যের দলের জেলা সভাপতিরা তো বটেই শাখা সংগঠন অর্থাৎ বিভিন্ন মোর্চার সভাপতিরাও থাকছেন। এত বড় আকারে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন এর আগে হয়নি বলেই দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। বাংলা থেকে ৬২৮জন প্রতিনিধি গিয়েছেন। সারা দেশ থেকে মোট প্রতিনিধির সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। বঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষনেতার কথায়, “একেবারে জেলাস্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে এতবড় বৈঠক এর আগে কখনও হয়েছে কি না মনে করতে পারছি না।” লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দলের প্রচার কীভাবে হবে, রণকৌশল কি-এসবই ঠিক হবে দু’দিনব্যাপী অধিবেশনে। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বসার সম্ভাবনা রয়েছে অমিত শাহর। বুথ থেকে শুরু করে বাংলায় সংগঠনের বর্তমান অবস্থা কী সেটা হাতে-কলমে দেখে নিতে চান তিনি। বঙ্গ বিজেপির তরফেও লোকসভা কেন্দ্রভিত্তিক আলাদা রিপোর্ট তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। দিল্লিতে চলে গিয়েছেন, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
[‘মিথ্যা অভিযোগের শিকার’, বরখাস্তের পর বিস্ফোরক অলোক ভার্মা]
বাংলায় দলের রথযাত্রা কর্মসূচি এখনও আইনি জটে আটকে। ১৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। আর ১৬ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে আসার কথা রয়েছে অমিত শাহর। আবার ২৯ জানুয়ারি রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। এইদিন রাজ্য বিজেপির তরফে ব্রিগেড ময়দান ‘বুক’ করে রাখা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শেষ হলে চলতি মাসে রাজ্যে শাহ ও মোদির কর্মসূচির বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রথযাত্রা যদি আরও পিছিয়ে যায় তাহলে বিকল্প সভার সূচি কী হবে তারও একটা রূপরেখা তৈরি করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বসার সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গ ব্রিগেডের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.