Advertisement
Advertisement
SSC Case

২৫ হাজার ৭৫৩ চাকরি বাতিল: সোমে সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি, এসএসসির তথ্যে নজর

সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারারা।

SSC Case: SC to hear on Monday Bengal plea against Calcutta HC order axing 25,753 school jobs
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 6, 2024 8:21 am
  • Updated:May 6, 2024 8:21 am  

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: সোমবার ফের সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারা ২৫,৭৫৩ শিক্ষক-শিক্ষিকা। গত সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এসএসসি-র তরফে জানানো হয়েছিল, তারা যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করতে প্রস্তুত। যদিও প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, ওএমআর শিটই যেখানে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেখানে কীভাবে এই কাজ সম্ভব? যেখানে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল, এর বিকল্প পথ রয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, তাহলে এই পদ্ধতি সম্পর্কে কলকাতা হাই কোর্টকে জানানো হয়নি কেন? প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, “কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ে এখনই কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। আগে পুরো মামলাটি শুনব।” এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতে এসএসসি জানিয়েছে, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য, তা চিহ্নিত করা সম্ভব। সূত্রের খবর, আপাতত কেবল পরিসংখ্যানই পেশ করতে চলেছে এসএসসি। তালিকা না জমা পড়ারই সম্ভাবনা প্রবল। সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য-অযোগ্যের ফারাক বোঝাবে এসএসসি। পরে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তালিকা পেশ করা হবে। সংখ্যাতত্ত্বে অযোগ্যদের পরিসংখ্যানই শীর্ষ আদালতে জমা করতে চলেছে এসএসসি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মেয়াদ উত্তীর্ণ মেশিনে USG! সিঙ্গুর হাসপাতালে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ রেগে আগুন লকেট]

এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলব, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, সেই পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেব। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ, সেই মোতাবেক আমরা যা করার করব।” সূত্রের খবর, এবার সেই পরিসংখ্যানই সংখ্যাতত্ত্বের আকারে এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে। গত শুনানিতে প্রশ্ন উঠেছিল সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়েও। হাই কোর্ট এই নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে বলেছে। তবে প্রথম দিনের শুনানিতে সেই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। আদালত নির্দেশ দেয়, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সিবিআই কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রয়েছে সোমবার পর্যন্ত। কাজেই চাকরিহারা, চাকরি প্রার্থীদের পাশাপাশি এদিনের শুনানির দিকে যে রাজ্যের মন্ত্রী ও শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক মহলও তাকিয়ে, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।

[আরও পড়ুন: আচমকা ‘বেঁচে’ উঠল মৃত কিশোর! কাটোয়া হাসপাতালে ধুন্ধুমার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement