Advertisement
Advertisement
চন্দ্রযানের অবতরণ

কুইজ জেতার পুরস্কার, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযানের অবতরণ দেখবে নবম শ্রেণির ছাত্রী

কুইজে জিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযানের অবতরণ দেখবে ৬০ জন পড়ুয়া।

A student from Chhattisgarh, selected to watch Chandrayaan 2 with PM
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 1, 2019 12:02 pm
  • Updated:September 1, 2019 5:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযানের অবতরণ দেখানোর জন্য একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযান ২-এর অবতরণ দেখতে চলেছে ছত্তিশগড়ের একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ্র জেলার বেলসন্ধ্যার বাসিন্দা ক্লাস নাইনের ওই পড়ুয়ার নাম শ্রীজল চন্দ্রকার। প্রশাসনের মাধ্যমে এই খবর পাওয়ার আনন্দে মেতেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে  ওই কিশোরীই একা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বসে চন্দ্রযান ২-এর চাঁদে অবতরণ দেখবে সারা দেশের মোট ৬০ জন পড়ুয়া।

[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি লালুপ্রসাদের, কার্যত বিকল হওয়ার পথে কিডনি]

ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য সারা দেশের নির্দিষ্ট ক্লাসের পড়ুয়াদের একটা সুযোগ দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আয়োজন করেছিল একটি কুইজ প্রতিযোগিতার। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে ২০ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে চন্দ্রযান অবতরণের সময় ইসরোতে থাকার সুযোগ দিয়েছিল। সারা দেশ থেকে প্রচুর ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় এই ৬০ পড়ুয়াকে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে নামার কথা রয়েছে চন্দ্রযানের। ওইদিন রাত ১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইসরোর হেড অফিসে বসে চন্দ্রযানের অবতরণ চাক্ষুষ করবে ছত্তিশগড়ের শ্রীজল।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে ওই কিশোরী বলে, ‘এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি আমার স্কুলের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ মহাকাশ সংক্রান্ত এই কুইজ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা আমাকে গাইড করেছেন। এটা আমার কাছে বিরাট বড় একটা সুযোগ। তাই এর জন্য আমি আমার অভিভাবকের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে কোনওদিন দেখা হবে তা কল্পনাই করতে পারিনি আমি। তাই এই সুযোগ পেয়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছে। ওই মুহূর্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে আমি জানতে চাইবে কীভাবে তিনি একসাথে এত দক্ষতার সঙ্গে অনেক কাজ করতে পারেন। আগামীতে দেশের জন্য তিনি আর কী কী ভাবছেন তাও জি়জ্ঞাসা করব।’

[আরও পড়ুন: ইউপিএসসি’র প্রস্তুতিতে ব্যস্ত স্বামী, শীতল সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত স্ত্রীর]

শ্রীজলের বাবা যোগেশ কুমার চন্দ্রকার বলেন, ‘মেয়ের এই সাফল্যে আমি প্রচণ্ড গর্বিত। আমাদের পরিবারের আর কেউ এই ধরনের সুযোগ আগে পায়নি। আমরা এই ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছি যে এই পরিবারের কোনও সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে চন্দ্রযান অবতরণের দৃশ্য দেখবে। এই সুযোগ পেয়ে আমরা নিজেদের সম্মানিত বোধ করছি। মেয়ের সাফল্যের খবর পাওয়ার পরেই আমাদের সমস্ত আত্মীয়রা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছে। সবাই খুব খুশি হয়েছে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement