Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sri Lanka

বাংলাদেশের পরে শ্রীলঙ্কা, আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত দ্বীপরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার

শ্রীলঙ্কায় বন্দর প্রকল্পের জন্য আদানিদের ঋণ আটকাতে পারে আমেরিকা।

Sri Lanka seeks to review energy deal with Adani Group

ফাইল ছবি।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 25, 2024 3:44 pm
  • Updated:November 25, 2024 4:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বাংলাদেশে। এবার চোখ রাঙাল শ্রীলঙ্কা। ইউনুস সরকারের মতোই বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল দ্বীপরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত বাম সরকার। সে দেশের সিলোন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের মুখপাত্র ধনুষ্কা পরাক্রমসিঙ্ঘে জানালেন, শ্রীলঙ্কার আগের সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বায়ুশক্তি সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছিল, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবগঠিত মন্ত্রিসভা। এছাড়াও এদিন জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একটি বন্দরকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ‘ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন’।

আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে দিকগুলি খতিয়ে দেখা হবে, তার মধ্যে রয়েছে প্রকল্পের খরচ, পরিবেশের উপর প্রকল্পের প্রভাব ইত্যাদি। এখনই চুক্তি বাতিল না হলেও তা কার্যকর থাকবে কি না সিদ্ধান্ত নেবে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরাকুমার দিশানায়েকের নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে শ্রীলঙ্কার মান্নার এবং পুনেরিনে বায়ুশক্তি আদানি গোষ্ঠীর সহযোগিতায় কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হচ্ছিল। এবার যা বাতিল হলেও হতে পারে।

Advertisement

এদিকে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ‘ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন’ রবিবার জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একটি বন্দরকে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে তারা। যদিও গত নভেম্বরেই বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণে ৪,২১৪ কোটি টাকারও বেশি অর্থসাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, রবিবার হাসিনার আমলে হওয়া আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদ্যুৎ, শক্তি এবং খনিজ সম্পদ দপ্তর বিষয়ক মূল্যায়ন কমিটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত চুক্তি খতিয়ে দেখার জন্য আইনি এবং তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগের প্রস্তাব করছে।”  বাণিজ্য চুক্তিগুলি করার নেপথ্যে অন্য কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল কি না, তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলেও জানানো হয়েছে ইউনুস সরকারের বিবৃতিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement