সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ঠিক ‘শোলে’ সিনেমার গল্প। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠে পড়েছিল বীরু। পণ করেছিল, বাসন্তী যতক্ষণ তাঁর বিয়ের প্রস্তাব স্বীকার না করবে, ততক্ষণ সে ওই উঁচু টাওয়ার থেকে নামবে না। তবে বীরুর মূল লক্ষ্য ছিল বাসন্তীর মাসি। বিয়েতে মত দিতে তিনিই তো দ্বিধা করছিলেন।
সম্প্রতি তেলেঙ্গানাতেও ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনা হুবহু এক। হয়তো ‘শোলে’র ধর্মেন্দ্রই এই ব্যক্তির আইডল। প্রেমিকা এক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়নি। বাধা হয়েছে তাঁর নিজের পরিবার। এক্ষেত্রে শুধু বিয়ে নিয়ে নয়, বিয়ে মেনে নেওয়া নিয়েও ছিল তাদের সমস্যা।
[ ইঞ্জিন জুড়তে গিয়ে দুই বাফারের মধ্যে পড়ে চিড়েচ্যাপ্টা রেলকর্মী ]
এই গল্পের হিরোর নাম ডি উপাধ্যায় চারি। তেলেঙ্গানার মোথকুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রায় ১০ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। নিজের প্রেমিকাকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়েতে প্রেমিকার অমত ছিল না। ফলে নির্দ্বিধায় চার হাত এক হয়ে যায়। কিন্তু গোলমাল ঘটায় তাঁর নিজের পরিবার। তারা বিয়ে মানতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে মেনে নেয় পরিবার। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ের ১০ বছর কেটে গেলেও পরিবারের ঘাড় সোজা হয়নি। এখনও উপাধ্যায়ের স্ত্রীকে মেনে নেয়নি তারা।
[ দিল্লির এইমসে ভরতি অটলবিহারী বাজপেয়ী, গঠন করা হল মেডিক্যাল বোর্ড ]
এভাবেই চলছিল এতদিন। কিন্তু ঘটনাটি অন্যদিকে মোড় নেয় সম্প্রতি। উপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীয়ের দুই সন্তান হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করাতেই বাড়ি গিয়েছিল উপাধ্যায়। চেয়েছিল তার সন্তানদের আশীর্বাদ করুক বাড়ির গুরুজনরা। কিন্তু গোঁয়ার পরিবারকে বাগে আনা যায়নি। তাদের ঘাড় সেই যে ১০ বছর আগে নড়েছিল, আর সোজা হল না। উপায় না দেখে বাড়ির সামনের মোবাইল টাওয়ারে চড়ে বসলেন উপাধ্যায়। সেখান থেকেই হুমকি দেন, যদি তাঁর পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়, তাহলে তিনি সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনে। উপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.