সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুরারি পরিবারের কথা মনে আছে? রাতারাতি এক পরিবারের এগারো জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল উত্তর দিল্লির বাড়িটি থেকে। সে ঘটনা চমকে দিয়েছিল গোটা দেশকে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রেখে একটি রীতি পালন করতে গিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সকলে। সেই ঘটনার প্রায় বছর ঘুরে গিয়েছে। বর্তমানে কেমন আছে সেই বাড়ি? স্থানীয়দের কথায়, ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে বুরারি বাড়ি। সেখানে এখন অশরীরীর বাস। একাধিকবার অলৌকিক ঘটনা অনুভবও করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এসব সত্ত্বেও এই বাড়িতেই বাস করেন দুই ভাই।
স্থানীয়দের দাবি, দিনের আলো ফুরোলেই এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা এলাকাকে। এমনকী ওই ভয়ংকর হাড়হিম করা ঘটনার পর থেকে এলাকার বাড়িঘরের বাজার মূল্যও অনেকখানি কমে গিয়েছে। এগারো জনের মৃত্যুর পর আইনিভাবে বাড়িটির মালিকানা পেয়েছিলেন পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি দীনেশ চুন্দাওয়াত। মালিকানা হস্তান্তরের পর পরিবারকে নিয়ে দু’রাত সেই বাড়িতেই কাটিয়ে ছিলেন দীনেশ। কিন্তু তারপরই অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর পুরনো দুই বন্ধু আহমেদ আলি এবং তাঁর ভাই আফজর আলিকে সেখানে থাকতে বলেন। গত অক্টোবর থেকে এই বাড়িতেই রয়েছেন আলি ভাইয়েরা। দুজনই পেশায় কাঠমিস্ত্রি। দীনেশ মাঝেমধ্যে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে যান। তবে ভাড়াটেদের কাছ থেকে কোনও ভাড়া নেন না তিনি।
কিন্তু কেন এই বাড়িতে থাকতে রাজি হলেন আলি ভাইয়েরা? এমন প্রশ্নের উত্তরে আহমেদ বলেন, “আমরা এই বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু বলুন তো, নিজের পরিবারের কেউ মারা গেলে কি আমরা সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই?” একথার পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অন্ধকার নামলেই বাড়িতে অশরীরীর অস্তিত্ব অনুভব করেন তিনি। বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনাও ঘটতে দেখেছেন। তবে তাঁর ভাই এসব নিয়ে কথা বলতে চাননি। শোনা যাচ্ছে, বাড়িটি প্রোমোটারদের বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন দীনেশ। যাঁরা এটি ভেঙে নতুন বহুতল তৈরি করতে আগ্রহী। তাহলে এলাকার বাসিন্দারাও স্বস্তি পাবেন আর ‘হন্টেড’ হয়ে ওঠা বাড়িটারও হিল্লে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.