সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই শনিবার রাতে ইস্তফা দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল (Election Commissioner Arun Goel)। তা গৃহীতও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জল্পনা অব্যাহত তাঁর ইস্তফার কারণ নিয়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি গোয়েল নিজে জানিয়েছেন ‘ব্যক্তিগত’ কারণেই তাঁর পদত্যাগ। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু গুঞ্জন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েচ্ছেন গোয়েল।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) একজন কমিশনারের পদ আগেই শূন্য ছিল। গোয়েলের পদত্যাগে শূন্যপদের সংখ্যা হল দুই। বর্তমান কেবলমাত্র মুখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার রয়ে গেলেন নিজের পদে। আগে শোনা গিয়েছিল, আগামী শনিবার ঘোষিত হতে পারে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তা অনিশ্চিত হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন ইস্তফা দিলেন গোয়েল? আর এই প্রসঙ্গেই বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বাংলা থেকে ফেরার দুদিন পরেই নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দুটি কারণে হতে পারে। প্রথম, সাংবিধানিক পদে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তির যেমন ইস্তফা দিয়েই বিজেপিতে যোগের হিড়িক পড়েছে, তারই আরেকটি সংযোজন হতে পারে। অথবা, দ্বিতীয়, বাংলা থেকে ঘুরে যাওয়ার পর হয়তো এই রাজ্যের জন্য এমন কিছু কাজের…’
বাংলা থেকে ফেরার দুদিন পরেই নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দুটি কারণে হতে পারে।
প্রথম, সাংবিধানিক পদে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তির যেমন ইস্তফা দিয়েই বিজেপিতে যোগের হিড়িক পড়েছে, তারই আরেকটি সংযোজন হতে পারে।
অথবা, দ্বিতীয়, বাংলা থেকে ঘুরে যাওয়ার পর হয়ত এই রাজ্যের জন্য এমন কিছু কাজের…
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) March 9, 2024
[আরও পড়়ুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, মোদির মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
গুঞ্জন, সম্প্রতি বাংলা থেকে ঘুরে গিয়েছিলেন গোয়েল। শীতলকুচি কাণ্ডের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যাতে কোনও ভাবেই না হয় এবং রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়, বেশি সংখ্যক মানুষকে বুথমুখী করা যায় তা নিয়ে তিনি কিছু প্রস্তাব দেন। কিন্তু তখন তাঁকে রাজীব কুমার বলেন, দিল্লি থেকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে সেভাবেই পরিকল্পনা করা হবে। আর এই মতপার্থক্যের জেরেই সরে দাঁড়িয়েছেন গোয়েল। এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একই ইঙ্গিত তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের পোস্টেও।
On the very eve of general elections, an election commissioner #ArunGoel has resigned from @ECISVEEP. What message does this send about the world’s largest democracy?! @AITCofficial will not allow anti Bengal anti Bengal zamindari @BJP4India to loot Bengal’s votes and damage… pic.twitter.com/YMWGjnjKsw
— Sagarika Ghose (@sagarikaghose) March 10, 2024
এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েলের আকস্মিক সিদ্ধান্তকে নিয়ে। তাঁর খোঁচা, নির্বাচন কমিশনের নাম বদলে করে দেওয়া হোক ‘ইলেকশন অমিশন’। শনিবার রাতেই এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘ভারতে এই মুহূর্তে একজনই নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন। যেখানে কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কথা। কেন? আমি আগেও বলেছি, আমরা যদি আমাদের স্বাধীন সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট ছকমাফিক ধ্বংস করে দেওয়া থেকে বাঁচাতে না পারি তাহলে আমাদের গণতন্ত্র স্বৈরাচারের দখলে চলে যাবে। যেসময় থেকে নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়ার সমস্ত ক্ষমতা শাসক দল ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে চলে গিয়েছে, তার পর কেন নতুন নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়া হল না ২৩ দিন পরেও? মোদি সরকারকে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যথাযথ ব্যাখ্যা-সহ।’
এদিকে তৃণমূল নেতা সাকেত গোখেলও প্রশ্ন তুলেছেন বিষয়টি নিয়ে। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আকস্মিক ভাবে নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল ইস্তফা দিয়েছেন। অন্য কমিশনারের পদটিও খালি। এর ফলে একজনই রয়েছেন এখন কমিশনে।’ অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালও বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
Election Commission or Election OMISSION?
India now has only ONE Election Commissioner, even as Lok Sabha elections are to be announced in few days. Why?
As I have said earlier, if we do NOT stop the systematic decimation of our independent institutions, our DEMOCRACY shall…
— Mallikarjun Kharge (@kharge) March 9, 2024
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.