প্রতীকী ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: করোনা সংক্রমণের জেরে ট্রেন চলাচলে আপত্তি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য। সেই উদ্বেগ যে একেবারে অমূলক নয়, তার প্রমাণও মিলেছে হাতেনাতে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার পর বেশ কয়েকটি রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও অন্ধ্রপ্রদেশ, এই তিন রাজ্যের অনুরোধে সাতটি স্পেশ্যাল ট্রেনের স্টপেজ বহু স্টেশন থেকে তুলে নিল রেল।
রেল সূত্রে খবর, আগামী ৪ জুন থেকে বারবিল জন শতাব্দি, মুম্বাই মেল, আহমেদাবাদ এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-দিল্লি এক্সপ্রেস, টাটা-দানাপুর এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি ওই তিন রাজ্যের বহু স্টেশনে দাঁড়াবে না। রাজ্যগুলি জানিয়েছে, এক সঙ্গে এতগুলি স্টেশনে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই এই মর্মে আবেদন পাওয়ার পর স্টপেজ কমানো হয়েছে রেলের তরফে। যেসব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে না, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য, মেচেদা, পাঁশকুড়া, টাটা নগর, চক্রধরপুর, ঘাটশিলা, চন্ডিল, সিনি, ডাঙরিপসি, বোকারো, বরাভূম, জয়চন্ডী পাহাড়, বার্নপুর, চিত্তরঞ্জন, পালাসা, বিজয়নগরম প্রভৃতি। এছাড়া, পূর্ব রেলও আটটি স্পেশ্যাল ট্রেনের স্টপেজ কমাল। অমৃত্সর মেল, যোধপুর এক্সপ্রেস, পূর্বা, পাটনা-জন শতাব্দি এক্সপ্রেস, দিল্লি-ডিব্রুগড়, লোকমান্য তিলক-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল ট্রেনগুলির স্টপেজ কমেছে। যে সব স্টেশন থেকে স্টপেজ তোলা হল সেগুলি হচ্ছে, বর্ধমান, দুর্গাপুর, চিত্তরঞ্জন, মধুপুর, বারহারওয়া, ফলাকাটা, ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, নিউ ফরাক্কা, পরেশনাথ, কোডার্মা প্রভৃতি।
এদিকে, রেলের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বহু যাত্রী। আনলক-১ শুরু হলেও দেশে সেই অর্থে এখনও স্বাভাবিক হয়নি যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা। ফলে বহু মানুষের কাছে বাড়ি ফেরা বা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার মাধ্যম ১ জুন থেকে চলা ২০০টি স্পেশ্যাল ট্রেন। কিন্তু সেগুলিতেও স্টপেজ কমিয়ে দেওয়ায় এবার নিকটবর্তী স্টেশনে না নেমে অনেককেই অনেকটা দূরে নামতে হবে। সে ক্ষেত্রে যানবাহন পাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.