সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বলে কথা। ফাইনালে আবার মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ক্রিকেটপ্রেমীদের আর কী চাহিদা থাকতে পারে। স্বপ্নের ফাইনাল ম্যাচের দিন রবিবার হওয়ায় পারদ আরও চড়েছে। বিরাটদের জয়ের জন্য সমর্থকরা নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছেন। কেউ ছুটেছেন মন্দিরে, কারও গন্তব্য গঙ্গার ঘাট। কেউ বসেছেন প্রার্থনায়। পুজো, হোম, যজ্ঞ করে সকলের একটাই ইচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যেন ওঠে কোহলির হাতে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সেমি ফাইনালের দিন দিল্লির ফাঁকা রাজপথের ছবি টুইট করেছিলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ছবিতে বীরু বুঝিয়ে দেন টিম ইন্ডিয়ার ম্যাচ থাকলে ভারতীয়দের কাছে দুনিয়ার অন্য কিছু অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ থাকলে যেন বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ঝরে। তাই কে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সেই আলোচনাও এখন গৌন। ক্রিকেট নিয়ে বেঁচে থাকা জাতি পাক ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবে উত্তেজিত। ক্রিকেট প্রেমীদের কেউ কেউ তুক-তাকে বিশ্বাসী। কারও আবার ভাবনা অন্য কিছু। কানপুর থেকে লাহলি। দেরাদুন থেকে এর্নাকুলাম। ছবিটা প্রায় এক। রবিবার সাত সকালে বারাণসীতে হয় বিশেষ প্রার্থনা। গঙ্গায় নেমে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে ভারতের জয়ের প্রার্থনা করেন বেশ কিছু উৎসাহী। কানপুরের ছবিটা খানিকটা একরকম। উত্তর প্রদেশের এই শহরে সম্প্রীতির ছোঁয়া। হিন্দু-মুসলমানরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোহলিদের সাফল্য কামনায় প্রার্থনা করেন। কানপুরের ভারতীয় সমর্থকরা বলছেন গ্রুপ লিগে পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানে জিততে তেমন ঘাম ঝরাতে হয়নি বিরাটদের। ফাইনালেও তার রিপিট টেলিকাস্ট হবে। তবে কেউ কেউ কিছুটা সাবাধানী। ভোপালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিয়ে যজ্ঞ চলছিল। সেখানকার ভারতীয় সমর্থকরা বলছেন, গ্রুপ লিগের পাকিস্তানের সঙ্গে এই টিমকে মেলানো যাবে না। টানা জিতে তৈরি সরফরাজরা। পাকিস্তানকে হালকা ভাবে নিলে মুশকিল বলে তারা মনে করেন। আবেগ ছাপানোর ম্যাচ নিয়ে এভাবেই প্রস্তুত হয়েছে গোটা দেশ। ম্যাচটা ছুটির দিনে হওয়ায় উৎসাহের মাত্রা অনেক খানি বেড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.