সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদদের আচরণে ক্ষুব্ধ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তাই বৃহস্পতিবার লোকসভা কাজ অসমাপ্ত রেখেই বেরিয়ে গেলেন তিনি। সাংসদরা কক্ষের নিয়ম বিরোধী আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বুধবারও এই একই অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাংসদদের এই আচরণে তিনি গভীরভাবে আহত। অন্যদিকে, আজও বিক্ষোভ দেখানোয় ৭ কংগ্রেস সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। চলতি এই অধিবেশনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবারও দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। তাই দুপুরেই মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। সপ্তাহের চতুর্থ দিনও লোকসভা এইভাবে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বিজেডি নেতা বি মহতাব অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান। সংসদ মুলতুবি না করে অধ্যক্ষের কাছে বাকি সাংসদদের কক্ষের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইতে যান তিনি। পুনরায় করোনা ভাইরাস ও দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবও রাখেন। বি মহতাব জানান, ২ মার্চ থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সেদিন থেকেই সাংসদদের এই আচরণে খুবই দুঃখিত হন অধ্যক্ষ। বারবার এই আচরণ অধ্যক্ষকে ক্ষুব্ধ করেছে।
তাঁর রাগ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় বিরোধী সাংসদদের আচরণ মাত্রা ছাড়ায়। তারা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওম বিড়লা বারবার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ঘোষণা করেন যে হোলির পর ১১ মার্চ এই বিষয়ে আলোচনা হবে ও সরকার পক্ষ এই বিষয়ে মুখ খুলবে। স্পিকারের এই ঘোষণার পরও বিক্ষোভ থামেনি। ওয়েলে নেমে কেউ তুমুল হই-হট্টগোল করতে থাকেন, কেউ বা রাগের চোটে লিফলেট ছুঁড়তে থাকেন, আবার কেউ পেপারের বল বানিয়ে একে অপরকে ছুঁড়ে মারেন। কেউ আবার একটি বড় পোস্টার নিয়ে তাতে অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এদিনও সেই একই পরিস্থিতি দেখা যায় লোকসভায়। বাজেট সেশন চলার সময় বারবার বিক্ষোভ চলতে থাকে। অধ্যক্ষের কথা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ দেখানোই সাংসদদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিছু সাংসদরা আবার স্পিকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আজও দিল্লি হিংসা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় গৌরব গগৈ-সহ ৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। চলতি এই অধিবেশনে তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা করা হয়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.