সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ব্রাহ্মণরা চিরদিনই সমাজে উন্নত স্থান পেয়ে আসছেন। এটা ওঁদের ত্যাগ আর তপস্যার পরিণাম। আর একারণেই ব্রাহ্মণরা চিরদিন সমাজের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন।” কথাগুলি কোনও হিন্দু ধর্মগুরু বা ধর্মীয় সংগঠনের নেতা বলছেন না। বলছেন খোদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও একপ্রকার বর্ণভেদে ইন্ধন দিলেন স্পিকার। স্বাভাবিকভাবেই ওম বিড়লার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। তাঁর অপসারণের দাবিও উঠছে।
समाज में ब्राह्मणों का हमेशा से उच्च स्थान रहा है। यह स्थान उनकी त्याग, तपस्या का परिणाम है। यही वजह है कि ब्राह्मण समाज हमेशा से मार्गदर्शक की भूमिका में रहा है। pic.twitter.com/ZKcMYhhBt8
— Om Birla (@ombirlakota) September 8, 2019
মূল ঘটনাটি রাজস্থানের কোটার। গত রবিবার সেখানে অখিল ভারত ব্রাহ্মণ মহাসভায় যোগ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেখানেই একথা বলেন স্পিকার। পরে টুইটারেও ফলাও করে তিনি একই কথা লেখেন। তিনি ব্রাহ্মণ্যবাদে বিশ্বাসী। একথা কারওরই অজানা নয়। সংঘ পরিবারের সদস্য বিড়লা যে হিন্দুত্বের আদর্শে অনুপ্রাণিত হবেন এতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। কিন্তু, তা বলে এত বড় সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বর্ণভেদে উসকানিমূলক কথা বলছেন স্পিকার, তা ভেবে পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। নিরপেক্ষতার শপথ নিয়ে যিনি সাংবিধানিক পদে বসেছেন, তিনি কীভাবে একটি বর্ণের শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে সওয়াল করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওম বিড়লার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি স্পিকারের অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখছেন,” বর্ণভেদের এই নির্মম উচ্ছ্বাস শুধু নিন্দনীয় তাই নয়, তার সঙ্গে শাস্তিযোগ্যও। এটা একটা রসিকতা যে ওঁর মতো লোক আমাদের লোকসভার স্পিকার। ওঁর উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.