সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামেই নৈশভোজ। আসলে মোদি বিরোধী জোট তৈরির প্ল্যাটফর্ম। এই উদ্দেশ্যেই প্রায় ১৭টি বিরোধী দলের নেতাদের এককাট্টা করে আপ্যায়ণের বন্দোবস্ত করেছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। সে দলে তৃণমূলের তরফে থাকছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আপাতত এই নৈশভোজ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
[ তাঁর ডাকেই ৫০ হাজার কৃষক ১৮০ কিমি পথ হেঁটেছেন, চেনেন বিজু কৃষ্ণণকে? ]
ইতিমধ্যেই ২১টি রাজ্যে গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে পদ্মশিবির। সাধারণ নির্বাচনে তাদের টেক্কা দিতে হলে যে এখনই ঠিকঠাক প্ল্যান লাগবে, তা বুঝতে দেরি হয়নি পোড়খাওয়া সোনিয়ার। কংগ্রেসের দায়িত্ব রাহুলের হাতে ছেড়েছেন। গুজরাট নির্বাচনে রাহুল দলকে খানিকটা চাঙ্গা করতে পেরেছেন। কিন্তু ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের ফলাফল বলছে, এখনও প্রয়োজনীয় বিরোধিতার জায়গায় যেতে পারেননি কংগ্রেস সভাপতি। দেশের আঞ্চলিক বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যে সম্পর্ক রেখে চলা উচিত তা তিনি করতে পারছেন না বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। স্থানিক রাজনীতির আলাদা অঙ্ক থাকে। তা বুঝতে কংগ্রেস সভাপতি বারবার অপারগ হচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রমাণ ত্রিপুরায় বাম দুর্গের পতনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। বিরোধী জোট একত্রিত করার ডাক দিয়ে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাহুলকে। কিন্তু রাহুল মানেননি। মমতার আক্ষেপ, রাহুল যদি তাঁর প্রস্তাব মানতেন তাহলে ত্রিপুরা দখল সম্ভব হত না বিজেপির। এদিকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে একাধিক দল বিরোধিতায় এগিয়ে গিয়েছে। নোট বাতিল থেকে নীরব মোদির ঋণখেলাপি, একাধিক ইস্যুতে অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিহারে তেজস্বী যাদবও শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে উঠে আসছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের সাম্প্রতিক বিবাদও আছে। ফলে এই মুহূর্তে যদি স্থানিক ভিত্তিতে বিরোধী জোটকে এককাট্টা করা যায়, তবে বিজেপির আগ্রাসন রোখা সম্ভব। নির্বাচনকে মাথায় রেখেই সে কাজে উদ্যোগী হলেন সোনিয়া গান্ধী।
[ মহারাষ্ট্রে দাঙ্গা বাধানোর ছক ছিল কৃষকদের, অভিযোগ বিজেপি নেতার ]
এদিনের নৈশভোজে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকছেন ডিএমকে-র কানিমোঝি, সপা-র নেতা রাম গোপাল যাদব, সিপিআইএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা প্রমুখ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকেও। যদিও বিজেডি, টিআরএস-কে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই সূত্রের খবর। একাধিক বর্ষীয়ান নেতার মতে, সোনিয়ার সঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলা যায়, অনেকের সময় রাহুলের সঙ্গে সেই মাত্রায় কতাবার্তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। কোথাও একটা শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে। তা পূরণ করতেই নৈশভোজের ডাক সোনিয়ার। ভোজের মেনু কী জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক ভাবনাই যে ভোজের অন্যতম লোভনীয় বস্তু তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপাতত ভোজশেষের বার্তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
[ জয়া বচ্চন ‘ডান্স গার্ল’, নরেশের কু-মন্তব্যে সংসদে তুমুল হট্টগোল ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.