Advertisement
Advertisement
কংগ্রেস রাহুল গান্ধী

বিবাদ ভুলে গান্ধীদের পাশে বিক্ষুব্ধরা, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী থাকছেন সোনিয়াই

ছ'মাসের মধ্যে নতুন সভাপতি নিয়োগ করার অঙ্গীকার কংগ্রেস নেতাদের।

Sonia Gandhi to remain interim congress chief for the time being.
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 24, 2020 5:46 pm
  • Updated:August 24, 2020 6:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মহানাটক’ শেষে আবারও কি গান্ধীদের হাতেই থাকতে চলেছে কংগ্রেসের রাশ? কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদদের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের কার্যকলাপে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) একটি মন্তব্য ঘিরে যখন কংগ্রেসের অন্দরে তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন তাঁরা রাহুল তথা গান্ধীদের সঙ্গেই আছেন। এবং কংগ্রেস সুত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত সোনিয়াকেই অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হবে। তিনি পদত্যাগ করতে চাইলেও, তা  গ্রহণ করবে না  দল। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করছে কংগ্রেস। 

তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে যে চিঠি সোনিয়া গান্ধীর কাছে লেখা হয়েছিল, সেই চিঠিতে এদের দুজনেরই নাম ছিল। কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন আজাদ প্রকাশ্যেই ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কপিল সিব্বল (Kapil Sibal) প্রকাশ্যে টুইট করে রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। আসলে সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী নাকি বলেছেন, যারা যারা দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগ আছে। এরপরই নাকি গুলাম নবি আজাদ ঘোষণা করেন, রাহুল যে অভিযোগ করেছেন, সেটা প্রমাণ করতে পারলে তিনি কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেবেন। কপিল সিব্বল আবার রাহুলের ওই মন্তব্যের কথা সংবাদমাধ্যমে শুনে দ্রুত রাহুলকে তোপ দেগে টুইট করে ফেলেন। এতক্ষণে মনে হচ্ছিল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরতে চলেছে। কিন্তু ছবিটা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বদলে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধ নেতারা বিজেপি ঘনিষ্ঠ, রাহুলের মন্তব্যে তোলপাড় কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ আজাদ-সিব্বল]

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল বিজেপি নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি। সিব্বল এবং আজাদ দুজনেই নিজেদের বক্তব্য ফিরিয়ে নেন। সিব্বল টুইট করে বলেন, রাহুল নিজে তাঁকে জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। আজাদও টুইট করেন। তিনি বলেন,”কংগ্রেসের অন্য কয়েকজন নেতা আমাদের বিজেপি (BJP) যোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমি ইস্তফা দিতে চেয়েছি। রাহুল গান্ধী বিজেপি যোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।” আরেক বিদ্রোহী নেতা মুকুল ওয়াসনিক আবার CWC বৈঠকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন,” সোনিয়ার থেকে অনেক শিখেছি। ভুল করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” রাজনৈতিক মহলের মতে, আজাদ এবং সিব্বলের এই মন্তব্যে স্পষ্ট, তাঁরা এখনও গান্ধী পরিবারের সদস্যদের চটাতে চাইছেন না। বরং তাঁদের সঙ্গেই থাকতে চাইছেন। আর শুধু এই দুজন নয়। অন্য বিদ্রোহীদেরও সুর নরম। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন বলছিলেন, আমরা কংগ্রেসেই থাকব। তার জন্য দল যদি শাস্তি দেয়, মেনে নিতে রাজি আছি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement