Advertisement
Advertisement
কংগ্রেস সোনিয়া

নতুন সভাপতি নিয়ে ‘দিশেহারা’ কংগ্রেস, বাড়ল সোনিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বের মেয়াদ

শীঘ্রই বাছা হবে স্থায়ী সভাপতি, ইঙ্গিত অভিষেক মনু সিংভির।

Sonia Gandhi to continue as interim Congress president till election

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 10, 2020 9:20 am
  • Updated:August 10, 2020 9:20 am  

স্টাফ রিপোর্টার: গত বছর আজকের দিনেই সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করে কংগ্রেস। ঠিক ছিল লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবি কাটানোর সাময়িক ধাক্কা কাটানো পর বাছা হবে পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি। কিন্তু তা হয়নি। কংগ্রেস সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কাজ করতে পারেন সর্বোচ্চ এক বছর। যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেল ২০২০-র ক‌্যালেন্ডারে ১০ আগস্ট আসতেই। যদিও রাতারাতি অন‌্য কাউকে দলের প্রধান হিসাবে বাছতে পারল না কংগ্রেস। উলটে কংগ্রেস কার্যকরী সমিতি জানিয়েছে, দলের পরবর্তী নেতা নির্বাচন করবেন সোনিয়াই। ততদিন এভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন।

কবে বাছা হবে পূর্ণ সময়ের সভাপতি? এই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP) ও সরকারে তাদের শরিকরাও। গত দেড় মাসে তিনটি হেভিওয়েট মিটিংয়ে উঠেছে ফের রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) সভাপতি করার প্রস্তাব। তবে এখনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় তিনি। সোনিয়ার মেয়াদ শেষের আগেরদিনও ওঠে সেই প্রসঙ্গ। কেরলের তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের (Shashi Tharoor) বক্তব‌্য, হয় দায়িত্ব নিন রাহুল। অথবা নির্বাচনের মাধ‌্যমে বাছা হোক অন‌্য কাউকে। আবার বাংলা থেকে রাজ‌্যসভার সদস‌্য অভিষেক মনু সিংভি ইঙ্গিত দিলেন, আর বেশি অপেক্ষা নয়। কয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ণ সময়ের সভাপতি বেছে নেবে কংগ্রেস। এদিন শশী বলেন, “পূর্ণ সময়ের সভাপতি ছাড়া এভাবে দিশেহারা হয়ে দীর্ঘদিন চলতে পারে না দল। দুঃসময়ে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে সোনিয়া গান্ধী হাল ধরলেও, তাঁর পক্ষে অনির্দিষ্টকাল এই দায়িত্ব টেনে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাই রাহুল গান্ধী রাজি থাকলে ভাল, না হলে নতুন কাউকে বেছে নিয়ে দ্রুত তাঁর হাতে দেওয়া হোক দলের দায়িত্ব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিন্দি না বলায় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন! বিমানবন্দরে চূড়ান্ত অপমানিত DMK সাংসদ কানিমোঝি]

শশী থারুরের এই বক্তব্যের মাঝেই দলের ‘প্রধান’ প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতি। যদিও অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “এভাবে শূন্যস্থান নিয়ে কোনও দলই চলতে পারে না। তবে এটাও ঠিক যে, খুব তাড়াতাড়িই নতুন কারও হাতে পূর্ণ সময়ের জন‌্য দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে।” ঘুণ আর উইয়ের মতো দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলকে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে নবীন বনাম প্রবীণ লড়াই। যার জেরে ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এক পা বাড়িয়ে রেখেছেন শচীন পাইলট। লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার জন‌্য যতটা কাজ করেছে মোদি ম‌্যাজিক, ততটাই দায়ী কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এমনটাই মত দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দেখার শুধু কত ‘তাড়াতাড়ি’ নতুন সভাপতি বেছে নেয় তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement