সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে। তাও আবার শত্রু যখন চিনের মতো শক্তিধর দেশ, তখন কৌশল তো পৃথক হবেই। তাই ভারত-চিন সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) বিনা প্ররোচনায় চিন সেনার আগ্রাসনে তৈরি অস্থির পরিস্থিতি সামলাতে, কিছুটা ব্যতিক্রমীভাবেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবং তাতে সাড়া দিয়ে প্রায় সব দলের প্রতিনিধিই আজ বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিচ্ছেন।
করোনা নিয়ে বৈঠকের বক্তা তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে চিন নিয়ে সর্বদলে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে রাজি হয়ে গিয়েছিলেষন। বলেছিলেন, ”সবার আগে দেশ, তারপর সব।” মমতার পথে হেঁটেই সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। থাকবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। এঁরা সকলেই বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ফোনে সাড়া দিয়ে থাকতে পারেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও।
তবে সূত্রের খবর, এই বৈঠকে চিন নিয়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনাই মূল হলেও সুযোগ পেয়ে বিরোধীরা একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হতে পারেন। সিপিএম নেতৃত্ব লকডাউনে দেশের আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের জবাবদিহি দাবি করতে পারে। কংগ্রেসের প্রশ্ন তুলতে পারে, করোনা আবহের মাঝেও কেন নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি? এছাড়া চিন সেনা কীভাবেই বা গালওয়ানে হামলা চালাল, যার মাশুল দিতে হল ২০ জন শহিদকে, চিনের সঙ্গে দফায় দফায় বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক কেন সদর্থক হচ্ছে না – এসব প্রশ্নও উঠবে। সবমিলিয়ে, আজ প্রতিরক্ষা নিয়ে সব দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার ফাঁকে নরেন্দ্র মোদিকে বিরোধীদের প্রশ্নের চাপ সহ্য করতে হবে, তেমনই ইঙ্গিত প্রায় সব শিবিরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.