সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত গলছে হিমবাহ। লাদাখের একটি হিমবাহ থেকে বরফের টুকরো নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকা গিয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সেখান থেকে ফিরেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লিখেছেন বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ১৪৪ বছর পর যদি মহাকুম্ভ হয়, তা হতে পারে বালির উপর। পুণ্যস্নানের উপায় থাকবে না। কারণ, সব নদী শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সোনম ওয়াংচুক। সেখানেই পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করেন। বলেন, যদি গঙ্গা, যমুনার মতো বহুবর্ষজীবী নদীর উৎস এই হিমবাহগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ না করা হয়, পরের মহাকুম্ভ বালির উপর করতে হতে পারে। হিমবাহ রক্ষার জন্য বহুদিন ধরেই তিনি আন্দোলন করছেন। লাদাখ থেকে পদযাত্রা করে দিল্লি আসেন। এরপর খারদুং লা-র একটি হিমবাহ থেকে বরফ নিয়ে আমেরিকা যান। সেখানকার বিখ্যাত পশমিনা উলে মুড়ে। বস্টনে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল, নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরেও যান অন্য পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে।
রাষ্ট্রসংঘ ২০২৫ সালকে হিমবাহ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক বছর হিসাবে ঘোষণা করেছে। ২১ মার্চ বিশ্ব হিমবাহ দিবস পালিত হবে। ওয়াংচুক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর ধরে হিমবাহের বরফ কমছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিকার পরে হিমালয়েই পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম বরফ এবং তুষার জমা রয়েছে। তাই এটিকে ‘তৃতীয় মেরু’ নাম দেওয়া হয়েছে। সে জন্য হিমালয় রক্ষার জন্য মোদির কাছে দাবি জানান ওয়াংচুক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.