সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে সোনম ওয়াংচুকের দাবি মানতে বাধ্য হল দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁদের নিয়ে আসা হল মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে। সেখানেই আমরণ অনশন ভঙ্গ করলেন বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’।
লাদাখের পরিবেশ বাঁচানো, ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্তি-সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে লে থেকে দিল্লির উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন সোনম ওয়াংচুক। ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর সঙ্গে আছেন মোট ১৫০ লাদাখি। সোমবার বেশি রাতে তাঁরা এসে পৌঁছন হরিয়ানা-দিল্লির সিংঘু সীমানায়। পরিকল্পনা ছিল, সেখানে বিশ্রাম নিয়ে মঙ্গলবার তাঁরা আসবেন দিল্লির মজনু কা টিলা পর্যন্ত। বুধবার অর্থাৎ গান্ধীজয়ন্তীর দিন সেখান থেকে যাবেন রাজঘাটে।
কিন্তু সিংঘু পৌঁছতেই ১৫০ পদযাত্রী ও পরে বাসে করে আসা আরও ১০০ জনকে আটক করে অমিত শাহের পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী কাউকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক করা যায় না। তাই মঙ্গলবার রাতের দিকে তাঁদের মুক্তি দেওয়ার কিছুক্ষণ বাদে ফের আটক করা হয়। সোমবার পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর থেকেই আমরণ অনশন শুরু করেন সোনম, লাদাখ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হাজি হানিফা জানরা। তাঁদের দাবি ছিল, গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে গিয়ে তবে ভঙ্গ করবেন অনশন। নাহলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে যে কোনও একজনের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক করাতে হবে।
সোনমকে আটক করার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদবদের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে সমর্থন শুরু করেন। মঙ্গলবার রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় লাদাখ সাংসদ হানিফা-সহ কয়েকজনকে। অবশেষে বুধবার বিকেলের দিকে সোনমদের বলা হয়, সন্ধ্যায় তাঁদের রাজঘাট নিয়ে যাওয়া হবে। সেইমতো বাওয়ানা থানা থেকে তাঁদের নিয়ে রওনা দেয় দিল্লি পুলিশের বাস। সাতটায় কথা থাকলেও প্রায় রাত দশটা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছন রাজঘাটে। সোনমদের আটক করার প্রতিবাদে লাদাখে বন্ধ ডাকা হয়। অবরোধ করা হয় ১ ডি, জাতীয় সড়ক। আটকের প্রতিবাদে বাওয়ানা থানার সামনে নিজেই ন্যাড়া হয়ে যান কারগিল থেকে আসা হাসান তামান্না নামক এক সোনম সমর্থক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.