সুব্রত বিশ্বাস: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বারবার হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই স্যানিটাইজার চাওয়ায় রেলের ৩৫ জন ট্র্যাকম্যানকে চার্জশিট দিল কর্তৃপক্ষ। উত্তর পশ্চিম রেলের কোটা ডিভিশনের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। তার ফলে চাপে পড়ে যান নির্দেশ জারি করা আধিকারিকরা। অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করে চার্জশিট প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? ট্র্যাকম্যানদের অভিযোগ, গত ৩ এপ্রিল তাঁদের ব্যবহার করার জন্য সাবান দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের দাবি, সাবান নয় করোনার সংক্রমণের আবহে হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজার দিতে হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জোগান নেই। তাই তা তারা চাইলেও দিতে পারবেন না। একথা শোনামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন ট্র্যাকম্যানরা। তাঁদের অভিযোগ, আপদকালীন পরিস্থিতিতে রেল মালগাড়ি ও পার্সেল ট্রেন চালাচ্ছে। ফলে ট্র্যাকম্যান থেকে এসএম, সিগন্যাল বিভাগের কর্মীদের কাজ করতে হচ্ছে। ফ্রণ্টলাইন কর্মীরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করলেও সুরক্ষাবিধি মেনে সরঞ্জাম দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের সুরক্ষার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
বিক্ষোভ দেখানোর পর ওই ৩৫ জন ট্র্যাকম্যানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। গরহাজির করে দেওয়া হয় তাঁদের। তাতেই তুমুল বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। ট্রাকম্যানরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লকডাউনের মধ্যে কাজ করে চলেছেন। তাই তাঁদের সুরক্ষার দিকটা ভাবা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত বলেই জানান অনেকেই। এরপরই চাপে পড়ে যান ট্র্যাকম্যানদের বিরোধিতা করা আধিকারিকরা। চাপের মুখে নতিস্বীকার করে চার্জশিট প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.