সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মানুষ মানুষের জন্য।’ সিএএ, এনআরসি কিংবা এনপিআর নিয়ে দেশজুড়ে যত অশান্তিই চলুক, মানবতার মৃত্যু যে এখনও হয়নি, সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি পরিবার। রীতিমতো মানববন্ধন তৈরি করে মুসলিম বরযাত্রীদের একটি দলকে আগলে, নিরাপদে, একেবারে অক্ষত অবস্থায় বকরগঞ্জের বিয়েবাড়িতে পৌঁছে দিল ৫০ জন হিন্দুর একটি দল। আর এভাবেই ধর্মের পরিচয় মুছে গিয়ে আরও একবার প্রাধান্য পেল প্রকৃত মানুষ হওয়ার পরিচয়। আরও একবার প্রমাণিত হল ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা।
ঘটনা গত ২১ ডিসেম্বরের। কানপুরের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা হসনৈন ফারুকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় বকরগঞ্জের পাত্রী জিনাতের। কিন্তু তখন গোটা উত্তরপ্রদেশ রীতিমতো অগ্নিগর্ভ। রাজ্যজুড়ে চলছে ভয়ংকর অবস্থা। CAA‘র প্রতিবাদ করায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক বিক্ষোভকারীর। রাজ্যে জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট।
ঠিক এই অবস্থায় বিয়ে করতে বেরোন ফারুক। কিন্তু আটকে পড়েন। সে কথা জানানো হয় জিনাতের বাড়িতে। এদিকে এই খবর শুনেই আসরে নেমে পড়েন জিনাতের পড়শি বিমল চাপাড়িয়া। ডেকে নেন সোমনাথ ও নীরজ তিওয়ারি নামে দুই বন্ধুকে। ডাকাডাকি করে জোগাড় করা হয় আরও ৫০ জনকে। সকলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর এঁদের নিয়েই বরযাত্রীকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সকলে বেড়িয়ে পড়েন। যেখানে ফারুক আটকে পড়েছিলেন সেখানে পৌঁছে তাঁদের ঘিরে একটি মানববন্ধন তৈরি করে ফেলেন দলের সদস্যরা।
আর তারপর ওইভাবেই হাঁটতে হাঁটতে চলে আসেন বকরগঞ্জের বিয়ের মণ্ডপে। বিয়ের সব কাজ শেষ হলে তবে ছুটি নেন বিমল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.