Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতীয় মহিলা গুপ্তচর সেহমতের আসল পরিচয় জানেন?

প্রকাশ্যে আসছে ৭১-এর যুদ্ধে ভারতকে সাহায্যকারী এই মহিলার পরিচয়।

Some facts about the real life ‘Sehmat’  depicted in Alia Bhatt’s Raazi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 25, 2018 9:15 pm
  • Updated:May 25, 2018 9:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত ‘রাজি’। এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে বেশ দাপট দেখিয়েছে সিনেমাটি। একশো কোটির ক্লাবে নামও লিখিয়েছে ইতিমধ্যে। লেখিকা হরিন্দর সিক্কার ‘কলিং সেহমত’ নামে একটি গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে রাজি। সেহমত নামে এক একজন মহিলা ভারতীয় গুপ্তচর পাকিস্তানে গিয়ে কেমন ভাবে পাক সেনার তথ্য ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন তা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কিন্তু, কে সেহমত? দেশের কতজন চেনেন তাঁকে?

[১৫ বছরের কিশোরকে লাগাতার যৌন নিগ্রহ, গ্রেপ্তার শিক্ষিকা]

Advertisement

জানলে অবাক হবেন, গত মাসেই মৃ্ত্যু হয়েছে বাস্তবের সেহমতের। কিন্তু জানতে পারল না তেমন কেউ। কেন খবরটা পৌঁছাল না দেশের কাছে? ঠিক এই প্রশ্ন জেগেছিল লেখিকা হরিন্দর সিক্কার মনে। ভারতের বীর এই সেনানীর গল্প সিনেমার পর্দায় পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এখনও দেশের কেউ জানেন না এই মহিলা গুপ্তচরের আসল পরিচয়। এখনও প্রকাশ্যে আসেনি তাঁর ছবি। কে তিনি? কেমন দেখতে তাঁকে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হয়ত পাওয়া যেতে পারে চলতি মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসে। উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ লেখিকা হরিন্দর সিক্কা। তিনিই প্রকাশ্যে আনতে চলেছেন গোয়েন্দা সেহমতের আসল পরিচয়। তাঁর বিভিন্ন সময়েরর ছবি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রদর্শনী করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। কথা বার্তা অনেকটাই এগিয়েছে সেহমতের ছেলের সঙ্গে। যিনি, তেমন ভাবে কোনও দিনও কাছে পাননি নিজের মা’কে। যাঁদের মধ্যে তেমন ভাবে গড়ে ওঠেনি মা-ছেলের সম্পর্ক।

[২০১৯-এ বিরোধীদের টক্কর দিতে বিজেপির হাতে নয়া মন্ত্র]

গোয়েন্দা সেহমতকে সামনা-সামনি না দেখলেও তাঁর সম্পর্কে অনেকটাই জানেন লেখিকা হরিন্দর সিক্কা। তিনি বলেন, ‘কলিং সেহমত’ বইতে তুলে ধরা হয়েছে একজন গুপ্তচরের দেশের জন্য আত্মবলিদানের কাহিনি। নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন গুপ্তচরকে কত কিছু করতে হয় সেই গল্প। গতানুগতিক নিয়মের বাইরে গিয়ে একজন গুপ্তচরের কাজের পদ্ধতি। ধরা পড়লে দেশ হয়তো তাঁকে স্বীকার করবে না, তা জেনেও কেমন ভাবে দেশের জন্য কাজ করে যান তাঁরা। ১৯৭১-এ ইন্দো-পাক যুদ্ধের সময় ভারত থেকে বিয়ে করে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সেহমত। সেখানে গিয়ে পাক নৌসেনার অনেক গোপন তথ্য ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। যা যুদ্ধে অত্যন্ত কাজে এসেছিল দেশের। তবে এক সময় এইসব ভাল লাগছিল না সেহমতের। মন চাইছিল সব ছেড়ে দিতে। কিন্তু পারেননি। লেখিকা হরিন্দর সিক্কা জানান, পাকিস্তানে থাকাকালীন একটি কবিতা লিখেছিলেন সেহমত। সেখানে একটি লাইনে তিনি লিখেন, ‘আমি অন্যের ইচ্ছায় বাঁধা পড়েছি। আমার মন চাইছে মুক্ত হয়ে উড়তে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement