সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে ডোকলাম ইস্যু নিয়ে বিরোধ মিটতে চলেছে দ্রুতই। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনা ছড়িয়েছে। রাজনাথের বক্তব্য, ‘দ্রুত ডোকলাম নিয়ে সব সমস্যা মিটে যাবে। কারণ ভারত শান্তির পক্ষে। কোনও সংঘর্ষের পথে হাঁটতে চায় না নয়াদিল্লি।’
ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘একটা বিষয়ে আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি, চিনের তরফেই শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ কিন্তু যে চিন আগাগোড়া ডোকলাম নিয়ে কট্টর অবস্থানে রয়েছে তারা আচমকা পিছু হটবে কেন? তবে কি নয়াদিল্লির চাপের কাছে ইতিমধ্যেই মাথা নত করে নিয়েছে বেজিং? আইটিবিপি-র অনুষ্ঠানে লাদাখ সফরের কথাও বলেন রাজনাথ। তিনি জানান, দেশের সেনা-জওয়ানদের শৌর্য দেখে কারও সাহস নেই ভারতের চোখে চোখ রেখে তাকানোর।
Thought they’ll be cold&tired but the spirit I saw in them! No one would dare raise eyes towards India. We have such brave soldiers: HM pic.twitter.com/1EzZlpzbo0
— ANI (@ANI) August 21, 2017
ড্রাগনের আক্রমণের ঝাঁজ যে এখন অনেকটাই স্তিমিত, সেটা চিনা সংবাদমাধ্যম জিনহুয়ার নয়া ভিডিও দেখেই বোঝা গিয়েছে। এর আগে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় সেনা ও বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চিনা মিডিয়া। কিন্তু ওই কুরুচিপূর্ণ, ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও-র তীব্র সমালোচনা ওঠে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে। চাপে পড়ে শেষমেশ বাধ্য হয়ে নয়া ভিডিওয় অনেকটাই সুর নরম করতে বাধ্য হয় ড্রাগন।
এরই মধ্যে আমেরিকা ও জাপান ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে সতর্ক করায় পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে অন্যের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ যে আন্তর্জাতিক আদালতে ধোপে টিকবে না, সে কথা বিলক্ষণ জানে বেজিং। আর তাই এবার ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসার ইঙ্গিত মিলেছে চিনের তরফেও।
Aashwast hoon, China apni taraf se sakaratmak pehel karega, aur shaanti kaayam hogi:Rajnath Singh, Home Minister pic.twitter.com/0VF1LefPmN
— ANI (@ANI) August 21, 2017
রাজনাথও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারত শান্তির পথে হাঁটবে। তবে কেউ হুঁশিয়ারি দিলে ভারতও যে ছেড়ে কথা বলবে না সেটা আগেই স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি। রাজনাথ এদিন বলেন, ‘জীবনে বন্ধু পালটানো যায়, কিন্তু প্রতিবেশী পালটানো যায় না। তাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জরুরি।’ রাজনাথের যুক্তি, নরেন্দ্র মোদি শুধু হাত মেলাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ জানান না। তাঁর আসল উদ্দেশ্য, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.