Advertisement
Advertisement

কেন কার্ডবোর্ডের বাক্সে আনা হল শহিদদের দেহ? প্রবল সমালোচনার মুখে সেনা

শহিদদের ন্যূনতম প্রাপ্য সন্মানটুকুও দিতে কি সেনা অসমর্থ?

Soldiers’ bodies in cardboard boxes aberration: Army
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 9, 2017 8:48 am
  • Updated:October 9, 2017 8:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁরা জেগে থাকেন বলেই শান্তিতে ঘুমোতে পারে দেশ। সীমান্তে বোমা-বারুদের মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জওয়ানদের জন্যই দীপাবলিতে নিশ্চিন্তে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে পারে জনতা। দু’দিন আগে সেই দেশরক্ষার কাজ করতে গিয়েই অরুণাচল প্রদেশে চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন সেনার সাত জওয়ান। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চিরনিদ্রায় শায়িত সেই জওয়ানদের মৃতদেহের ছবি। সেখানে দেখা যায়, কফিন নয় কার্ডবোর্ডের বাক্সে রাখা ছিল জোয়ানদের মরদেহগুলি। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। শহিদদের ন্যূনতম প্রাপ্য সন্মানটুকুও দিতে কি সেনা অসমর্থ? উঠে আসে এমন প্রশ্নই।


এই প্রসঙ্গে বিতর্ক শুরু হতেই সাফাই দিয়ে একটি টুইট করা হয় সেনার তরফ থেকে। সেখানে জানানো হয় ওই ঘটনাটি ‘বিক্ষিপ্ত’। শহিদদের সবসময়ই পূর্ণ মর্যাদা ও সন্মান দেয় সেনা। যদিও এই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট নন অনেকেই। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচ এস পানাগ। টুইট করে তিনি বলেন, দেশের জন্য পা বাড়িয়েছিল সাত জওয়ান। দুর্ভাগ্য, এভাবেই তাঁদের বাড়ি ফিরতে হল। পানাগ আরও বলেন, কফিনে না ঢোকানো পর্যন্ত মৃতদেহ ‘বডিব্যাগ’-এ রাখা উচিত। সেনা সূত্রে খবর, জওয়ানদের মরদেহগুলির ছবি গুয়াহাটিতে তোলা হয়েছিল।


শুক্রবার, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের কাছে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার একটি চপার। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট-সহ পাঁচ জন বায়ুসেনা কর্মী ও দু’জন সেনা জওয়ান। সম্ভবত কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

[ফের বিতর্কে ঋতব্রত, এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement