সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকদিন তিনি কাটিয়েছেন সীমান্তের ওপারে। পাকিস্তানে। সেখান থেকে ফিরে আর সেনাবাহিনীতে যোগই দিতে চাইলেন না চন্দু চবন। সেনাবাহিনী ছাড়তে চান তিনি। এই নিয়ে সেনাবাহিনীর সিনিয়রদের তিনি চিঠিও দিয়েছেন। খাদকির সেনা হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বছর চব্বিশের চন্দু চহ্বন।
২০১৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক শুরু করে ভারত। সার্জিকাল স্ট্রাইকের জন্য নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে পাকিস্তান গিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু সেখান থেকে আর দেশে ফেরা হয়নি তাঁর। সার্জিকাল স্ট্রাইকের চার মাস পরে পাকিস্তান চন্দুকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। দেশে ফেরার পর তাকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়। তদন্ত শেষ হলে তাঁকে অস্ত্র-সহ লিভিং ক্যাম্পে থাকতে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে আহমেদনগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
[ মোদির রাজ্যে দলিত যুবককে পিটিয়ে খুন, ভাইরাল নৃশংস ভিডিও ]
তিন সপ্তাহ আগে চন্দুকে সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে মানসিক রোগীর বিভাগে ভর্তি করা হয়। বলা হয়, তাঁকে কিছুদিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। ডাক্তাররা তাঁর আচার আচরণ পর্যবেক্ষণ করবেন। তখনই চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন চন্দু। সিনিয়রদের তিনি জানান, তাঁকে যেন তাঁর ডিউটি থেকে ছুটি দেওয়া হয়। বলেন, “আমাকে গত ২০ দিন ধরে সেনা হাসপাতালের মানসিক রোগের বিভাগে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তিনদিন আগে আমি আমার সিনিয়রদের চিঠি লিখেছি।”
[ মুখোমুখি মোদি-পুতিন, নজর অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ]
চন্দু বলেছেন, তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাতে চান। আর সেই কারণে তাঁর সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। মিলিটারি হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, চন্দুকে কিছু পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার জন্য এক থেকে দুই দিন সময় লাগবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.