সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংক্রমিত দিল্লির এক জওয়ান। আংশিক বন্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি সেনা ভবন। সংক্রমণ মুক্ত করার জন্য সেনা ভবনের একটি তল সিল করে চলছে জীবাণুনাশের কাজ।
লকডাউনের নিয়ম দেশে কড়াভাবে পালন করতে গিয়ে করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন একের পর এক জওয়ান। রেহাই পাচ্ছেন না দিল্লি পুলিশও। শুক্রবার ফের দিল্লি সেনা ভবনে ( Sena Bhawan) কর্মরত এক জওয়ান আক্রান্ত হন। সেনাভবন সূত্রে খবর, “এক জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। আর একজনও আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই কারণে সেনাবাহিনীর হেড কোয়ার্টার বিল্ডিং সেনা ভবনের একটি তলের একাংশ সংক্রমণমুক্ত করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
A part of a floor of the Army headquarters building, Sena Bhawan closed for fumigation and sanitisation after one suspect and one confirmed case of COVID-19 detected there: Indian Army Sources pic.twitter.com/2SBl8vsa5C
— ANI (@ANI) May 15, 2020
খুঁজে দেখা হচ্ছে কারা ওই জওয়ানের সংস্পর্ষে এসেছিলেন। তাঁদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই কারণে এপ্রিল মাসে জোড়বাগ এলাকার রাজীব গান্ধী ভবনে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের হেডকোয়ার্টারও সিল করে দেওয়া হয়েছিল। এক কর্মীর করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরই আরও এক কর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় দিল্লিতে সরকারের থিংক ট্যাংক নীতি আয়োগের অফিসও সিল করে দেওয়া হয়। দিনকয়েক আগেই সিআরপিএফ (CRPF)-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল জাভেদ আখতারের স্টেনোগ্রাফার করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী চলার জন্য, জেলার সারভেলিয়ান্স অফিসারকে বিষয়টি জানায় বাহিনী। এরপর লোধি রোডের সিজিও কমপ্লেক্সও সিল করে দেওয়া হয়। সেখানে চলে জীবাণুনাশের কাজ।
জাভেদ আখতার ও আরও ১০ কর্মীকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সদর দফতরে ওই কর্মীর সংস্পর্শে আর কারা কারা এসেছিলেন, তাঁর খোঁজ শুরু হয়। গোটা বিল্ডিং সংক্রমণমুক্ত করা হয়। তবে বার বার জওয়ানরা সংক্রমিত হয়ে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কপালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.