Advertisement
Advertisement

Breaking News

গুলি

জয়ের পরই চরম পরিণতি, গুলিতে ঝাঁজরা স্মৃতি ইরানির প্রচারসঙ্গী

রাতদুপুরে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা৷

Smriti Irani's close aide Surendra Sing shot dead in Amethi
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 26, 2019 11:08 am
  • Updated:May 26, 2019 4:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়ের পরই খুন! গুলিতে ঝাঁজরা আমেঠির বিজয়ী হেভিওয়েট প্রার্থী স্মৃতি ইরানির  প্রচারসঙ্গী সুরেন্দ্র সিং৷ রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বারাউলিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে ঢুকে সামনে থেকে গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী৷ ওই অবস্থায় তাঁকে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় এই বিজেপি নেতার৷ খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ না কি অন্য কিছু, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত৷

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রাজীব কুমার, তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি অভিবাসন দপ্তরের]

আমেঠির পুলিশ সুপার রাজেশ কুমারের কথায়, ‘রাত প্রায় তিনটে নাগাদ তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা৷ আমরা কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জেরা করে আসল বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি৷ এটা কোনও পুরনো শত্রুতা থেকেও হতে পারে৷ রাজনীতির বিষয়টাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷’ দীর্ঘকাল কংগ্রেসের দখলে থাকা আমেঠির মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনটি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিগত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি৷ আর তাতে বেশ বড়সড় ভূমিকা ছিল এই সুরেন্দ্র সিংয়ের৷ সর্বক্ষণ স্মৃতির প্রচারসঙ্গী ছিলেন সুরেন্দ্র৷

Advertisement

২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রকল্প ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’য় উত্তরপ্রদেশের বারাউলিয়া গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহর পারিকর৷ সেই গ্রামের প্রধান হিসেবে ছিলেন সুরেন্দ্র সিং৷ পরবর্তী সময়ে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় বারাউলিয়া গ্রামের প্রধানের পদটি ছেড়ে দেন৷ নেমে পড়েন নির্বাচনী প্রচারে৷ তাঁর মূল দায়িত্ব ছিল, স্মৃতি ইরানির হয়ে বিভিন্ন সভা, মিছিল, বৈঠকের আয়োজন করা৷ সেই কাজে তিনি যে বেশ সফল, তার প্রমাণ আমেঠি কেন্দ্র কংগ্রেসের থেকে স্মৃতি ইরানির ছিনিয়ে নেওয়া৷ শুধু তাইই নয়, বড়সড় ব্যবধানেই রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন স্মৃতি৷

[আরও পড়ুন:অন্ধ্রপ্রদেশে আজব ফল, কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে বেশি ভোট পড়ল নোটায়!]

কিন্তু এসবের পরই সুরেন্দ্রর জীবনে নেমে এল চরম পরিণতি৷ ভোটের ফলপ্রকাশের দিন দুই কাটতে না কাটতেই আততায়ীদের গুলিতে খুন হলেন তিনি৷ যদিও কারণ নিয়ে সংশয়ে খোদ পুলিশ৷ পুরনো পারিবারিক বিবাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে খুন কি না, সেদিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

সুরেন্দ্র সিং-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবারই আমেঠি যান স্মৃতি ইরানি। তারপর বিকেলে দলীয় কর্মীর শেষযাত্রায় অংশ নেন তিনি। অন্যদের সঙ্গে সুরেন্দ্র-এর দেহ বয়ে নিয়েও যেতে দেখা যায় তাঁকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement