সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতীত সর্বদা সুখের হয় না, তা কালিমালিপ্তও হয়ে থাকে। নির্বাচনী যুদ্ধের মাঝেই কংগ্রেসের অতীতের সেই ‘কালি’ নতুন করে প্রকাশ্যে আনলেন আমেঠির বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাত শিবিরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে স্মৃতির অভিযোগ, কংগ্রেস আমেঠিকে নিজেদের ‘গড়’ বলে। অথচ এই আমেঠিতেই কংগ্রেস নেতা কর্মীদের হাতে নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের গৃহবধূ মানেকা গান্ধী। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আমেঠিতে গত ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য সেখানে নির্বাচন লড়ছেন না। তবে পরিবারের সদস্য না হলেও কিশোরীলাল শর্মা গান্ধীঘনিষ্ঠ তো বটেই। অন্যদিকে, এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। সম্প্রতি এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গান্ধী গড় আমেঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দেগে স্মৃতির অভিযোগ, ‘কংগ্রেস নিজের বাড়ির বধূকেই সম্মান করে না।’
অতীত ইতিহাস তুলে ধরে স্মতি বলেন, সেই সময় সঞ্জয় গান্ধী (Sanjay Gandhi) এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তেন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে এখানে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে নামেন মানেকা গান্ধী। সেই সময়ের কথা তুলে স্মৃতি বলেন, “যে গড়ে কংগ্রেস তাদের গৃহবধূকে অপমান করে, সেখানে অন্যান্য মা-বোনেদের সঙ্গে তারা কী আচরণ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানেকা গান্ধী যখন এই কেন্দ্রে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন, তখন তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল কংগ্রেস। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি তাঁর জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়।”
স্মৃতি আরও জানান, ‘আসলে ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তবে ১৯৮০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালে ওই আসন থেকে লড়তে চান মানেকা। তবে গান্ধী পরিবার মেনকাকে সুযোগ দেয়নি। এই ইস্যুতেই গান্ধী বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয় এবং গান্ধী পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যান মানেকা। ১৯৮৪ সালে এখানে রাজীব গান্ধীকে প্রার্থী করা হলে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মেনকা। তখন কংগ্রেসের হাতেই হেনস্তার শিকার হন তিনি।’ যদিও তাঁকে হারিয়ে সেবার প্রায় ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয় পান রাজীব গান্ধী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.