Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তরপ্রদেশ

অসুস্থ দাদুর স্ট্রেচার ঠেলছে ৬ বছরের শিশু, উত্তরপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালের ঘটনায় নিন্দার ঝড়

বরখাস্ত করা হল হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে।

Six year old seen pushing ill grandfather's stretcher in UP hospital
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:July 22, 2020 10:51 am
  • Updated:July 22, 2020 10:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ দাদুকে স্ট্রেচারে ঠেলে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছে ছয় বছরের শিশু। যার মাথাও ঠিকমতো স্ট্রেচার অবধি পৌঁছয় না! সেই খুদেই কিনা দাদুর চিকিৎসার জন্য তৎপরতার সঙ্গে স্ট্রেচার ঠেলছে। ঠিক সময়মতো দাদু যাতে চিকিৎসাটা পায় অন্তত! সম্প্রতি এরকমই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। রাজনৈতিক স্তরের ব্যক্তিত্বরাও সরব হয়েছিলেন এই ছবি দেখে। যার জেরে বরখাস্ত করা হল হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে।

যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি হাসপাতাল ঘটনা। সেখানে স্ট্রেচার ঠেলতেও ওয়ার্ড বয়ের হাতে প্রথমেই গুঁজে দিতে হয় ৩০ টাকা! না হলে তিনি কাজটাই করবেন না। টাকা না পেলেই মুখের উপর না বলে দিয়ে চলে যাবেন। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার এক হাসপাতালে সম্প্রতি এমনই ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে বারহজের গাওরা গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারকে। হাতে টাকাপয়সা ছিল না বিশেষ। তাই চিকিৎসার খরচের বাইরে অতিরিক্ত ত্রিশ টাকা দেওয়ার সামর্থ্যটুকু নেই তাদের। অতঃপর অবস্থা বেগতিক দেখে ৬ বছরের সেই খুদেকেই মায়ের সঙ্গে স্ট্রেচার ঠেলে দাদুকে নিয়ে যেতে হল ওয়ার্ডে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতে কত হতে পারে অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের দাম? ইঙ্গিত দিল সেরাম ইনস্টিটিউট]

বারহজের গাওরা গ্রামের বাসিন্দা ছেদি যাদব দিন দুয়েক অসুস্থ থাকায় তাঁর কন্যা বিন্দু তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিল ৬ বছরের নাতি শিবমও। ওয়ার্ড বয়কে ত্রিশ টাকা না দিতে পারায়, মেয়ে বিন্দু নিজেই একটা স্ট্রেচার টেনে আনেন হাসপাতালে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছেদিকে স্ট্রেচারে শুইয়ে দেন বিন্দু এবং তা ঠেলতে থাকে শিবম। দেওরিয়া হাসপাতালের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই খোদ জেলাশাসকের নজরে আসে। এরপরই টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। এরপরই অতি তৎপরতার সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়ার্ড বয়কে।

অসুস্থ বৃদ্ধের মেয়ে বিন্দুর অভিযোগ, “স্ট্রেচার ঠেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ড বয় আমার কাছে ৩০ টাকা চায়। আমি দিতে অপারগ হওয়ায় আমার বাবাকে নিয়ে যায়নি। বাধ্য হয়ে আমি ও আমার ছেলে শিবম স্ট্রেচার ঠেলে ওয়ার্ডে নিয়ে যাই।” দেওরিয়ার জেলাশাসক সোমবারই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ওই বৃদ্ধের পরিবারে লোকের সঙ্গে দেখা করেন।

[আরও পড়ুন: ভাইঝির ‘যৌন হেনস্তা’র প্রতিবাদ করায় খেতে হয়েছিল গুলি, মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement