Advertisement
Advertisement
ছয় প্রতিবাদীর মৃত্যু

CAA’র বিরোধিতায় অশান্ত উত্তরপ্রদেশ, গুলিবিদ্ধ ৬ প্রতিবাদীর মৃত্যু

দিল্লিতেও পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ।

Six protester died in Uttarpradesh due to bullet injury.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 20, 2019 7:50 pm
  • Updated:December 20, 2019 9:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় জ্বলছে যোগীর রাজ্য। শুক্রবারও বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হল ৬ বিক্ষোভকারীর। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই তাঁদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ওপি সিংয়ের দাবি, দিনভর প্রতিবাদীদের ঠেকাতে তাঁরা একটি গুলিও চালায়নি। জানা গিয়েছে, এদিন CAA বিরোধী আন্দোলনে বিজনৌরে দুজন ও সম্বল, মীরাট, কানপুর, ফিরোজাবাদের মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।মীরাটে আশঙ্কাজনক আরও তিনজন। এদিকে ফিরোজাবাদে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আটজন।

বৃহস্পতিবার শুক্রবার বেলা বাড়তেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোরক্ষপুর, বাহরাইচ-সহ একাধিক এলাকা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলেন।কিন্তু পুলিশ তাঁদের উপর হামলা চালায়। রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভকারীদের বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশের পাল্টা দাবি, তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এদিনের একের পর এক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ছবি সামনে এসেছে।সরকারি বাস থেকে বাইক, পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মীরাটে পুলিশ চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর মিলেছে। ২০ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।  

Advertisement

[আরও পড়ুন :হাতে গোলাপ, মুখে সংহতির গান, CAA বিরোধী আন্দোলনে শান্তির ছবি জামিয়ায়]

এদিকে বিরোধিতায় উত্তাল দিল্লিও।এদিন সকালে জুম্মাবারের নমাজপাঠের পর জামা মসজিদের বাইরে জমায়েত হয় আন্দোলনকারীরা। ভীম আর্মির স্লোগানে আরও উত্তপ্ত  হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করেও ধরে রাখতে পারেনি পুলিশ। তিনি নাগাল ফসকে বেরিয়ে যান। অশান্তির আশঙ্কায় আজ সকাল থেকেই জামা মসজিদ চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বাড়তি পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমে চলছিল নজরদারিও। দুপুরে নমাজপাঠ শেষ হতেই সেখানে জমায়েত হন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সকলের হাতে প্ল্যাকার্ড, হোর্ডিং। সকলের কবজিতে কালো ব্যাজ বাঁধা ছিল। বোঝা যায়, বিক্ষোভকারীরা সকলে ভীম আর্মির সদস্য। জমায়েত থেকে স্লোগান ওঠে – ‘জয় ভীম’।রাত বাড়তে অশান্তি আরও চরমে ওঠে। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে জালকামান চালায় পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৮টি মেট্রো স্টেশন।দরিয়াগঞ্জ এলাকাতেও অশান্তি ছড়ায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়িও। রাতে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে কারফিউ জারি করা হয়। দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

   

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement