Advertisement
Advertisement

চরম আর্থিক অনটন, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা একই পরিবারের ৮ জনের

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে।

Six members of a family commit suicide in Tamil Nadu
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2017 1:26 pm
  • Updated:September 25, 2017 1:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  পরিবারে চরম আর্খিক অনটন। বাজারে প্রচুর দেনা। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দুই শিশু-সহ একই পরিবারে আটজন। বাড়ির দরজা ভেঙে আটজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মারা গিয়েছেন ছ’জন। বাকি দু’জনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে।

প্রতিবাদের রূপ বদলে হিংসাত্মক আন্দোলন, BHU-তে আহত বহু ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, মাদুরাই শহরের আগাপ্পা নগর এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুল চালাতেন ভেলমুরুগান ও তাঁর ভাই কুরুনজি কুমারন। কিন্তু, স্কুল থেকে যা আয় হত, তাতে আটজনের সংসার চলত না। উলটে বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে গিযেছিল পরিবারটির। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে রবিবার নিজেদের বাড়িতেই বিষ খেয়ে সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ভেলমুরুগান ও কুরুনজি কুমারন। বিষ খায় পরিবারের দুই শিশুও। খবর পেয়ে বাড়ি দরজা ভেঙে আটজন অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে মারা যান ভেলমুরুগান,  তাঁর ভাই কুরুনজি কুমারন, তাঁদের মা, দুই মেয়ে-সহ পরিবারের ছ’জন। কুমারনের স্ত্রী ও এক মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালে তরফে।

[জন্মের ছ’মিনিটের মধ্যেই আধার কার্ড পেল সদ্যোজাত!]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। মাদুরাইয়ের পুলিশ কমিশনার মহেশ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে প্রশাসনকে ধার মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে কারা তাঁদের কাছে টাকা পেতেন, তা জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[দেবী দুর্গাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, অভিযুক্ত দিল্লির অধ্যাপক]

এদিকে, অ্যাম্বুল্যান্স দেরি আসার কারণে পরিবারের ছ’জন সদস্যকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। রবিচন্দ্র নামে এক প্রতিবেশী দাবি করেছেন, রবিবার সকালে তিনি ওই বাড়ি গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে, অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। কিন্তু, খবর দেওয়ার ৪৫ মিনিট পরেও ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি।  অ্যাম্বুলেন্স কেন সময়মত এল না, তা সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাদুরাইযের জেলাশাসক কে ভীরা রাঘর রাও। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা প্রদানকারী করার সংস্থারও বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হযেছে্।

[আদাতেই শরীরে ঢুকছে অ্যাসিড, কেনা কতটা বিপজ্জনক?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement