Advertisement
Advertisement
সেনাপ্রধান নারাভানে

‘চিন সীমান্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেন সেনাপ্রধান

আলোচনার সুফল মিলছে, বললেন এম এম নারাভানে।

Situation along our borders with China is under control, says army chief
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 13, 2020 4:01 pm
  • Updated:June 13, 2020 4:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Manoj Mukund Naravane)। গত প্রায় মাস দেড়েক সময় ধরে চলে আসা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান ঘোষণা করলেন, চিন সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। চিনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার একাধিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। এবং সেই আলোচনার সুফলও মিলেছে। সেনাপ্রধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সীমান্ত অশান্তি নিয়ে দেশবাসীর উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

[আরও পড়ুন: ‘ভুল রেস জেতার লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারত’, পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি রাহুলের]

উল্লেখ্য, প্রায় মাস দেড়েক আগে থেকে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বরাবর একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল, প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের উচ্চতম বিমানঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম গারি গুনশায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিনা ফৌজ। লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছে মোতায়েন বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম হল J-11 এবং J-16 ফাইটার। লাদাখ সীমান্ত বরাবর হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (People’s Liberation Army)। চিনা সেনাকে পালটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারতও। তবে, গত ৬ জুন দু’দেশের মধ্যে হওয়া মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠকের পর গালওয়ান এলাকা, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও হট স্প্রিং এলাকায় সংঘর্ষের কেন্দ্র থেকে আড়াই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। ওই সব এলাকা থেকে ফৌজ সরিয়েছে ভারতও। ৬ জুনের পর থেকে ভারতীয় সীমান্তে চিনা বায়ুসেনাও আর আস্ফালন দেখাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে খতম ২ জঙ্গি]

সেই সুত্র ধরেই সেনাপ্রধান নারাভানে দেশবাসীকে আস্বস্ত করে বলছেন,”আমি সকলকে আস্বস্ত করতে চাই যে, চিন সীমান্তের সব এলাকার পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। আমরা ওদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেছি। ক্রপ কম্যান্ডার থেকে শুরু করে স্থানীয় স্তরে সমান পদমর্যাদার আধিকারিকদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তার সুফল হিসেবেই দুই দেশ ধীরে ধীরে সেনা সরাচ্ছে। আমরা আশাবাদী দু’দেশের মধ্যে যা যা মতভেদ আছে, সব আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়া যাবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement